”ভোলার পাখি যায়না ভোলা” শিরোনামে ভোলায় পাখি মেলা অনুষ্ঠিত পাখি সংরক্ষণের দাবী আয়োজকদের

বিশেষ প্রতিনিধি • ভোলার পাখি যায়না ভোলা শিরোনাম  ”ভোলার পাখি যায়না ভোলা” শিরোনামে ভোলায় পাখি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) ও বাংলাদেশ বন বিভাগ যৌথভাবে পাখিমেলা আয়োজন করেছে। ভোলার আলী নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার পাখি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন প্রকার দেশী ও পরিযায়ী পাখি সম্পর্কে জানানো হয় শিক্ষার্থীদের। দেশের পাখি সমৃদ্ধ এলাকার মধ্যে দ্বীপ জেলা ভোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোলার বিভিন্ন কাঁদা-মাটির চর ও জলাভূমি পরিযায়ী পাখিদের খন্ডকালীন আবাসাভূমি, স্টপওভার ও ট্রানজিট হিসেবে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ভাবে মনোযোগ ও গুরুত্ব অর্জণ করেছে। পৃথিবীর দুটি বিরল প্রজাতির পাখি শীত মৌসুমে এই অঞ্চলে পরিযায়ী হয়ে আসে। একটি স্পুনবিল স্যান্ডপাইপার ও এশিয়াটিক উইচার। এছাড়া উপকূলীয় চরাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বক, কাস্তেচরা, গাংচিল, পানকৌড়ি, মেটে রাজহাঁস, শরালী, চকাচকি, বালিহাঁস, সহ বিভিন্ন প্রজাতি। কিছু অসাধু ব্যক্তি এই পাখিগুলোকে বিষ ও ফাঁদ পেতে ধরে ফেলে। তাদের অবাধ শিকারে এ অঞ্চলে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

এসব পরিযায়ী পাখির আগমন ও বিচরন স্থানগুলো নিরাপদ করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই পাখিমেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় পাখির আলোবচিত্র, পাখির ছবি আকাঁ প্রতিযোগীতা, এবং স্লাইড প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন প্রকার পাখির ছবি ও না জানতে পারেন। পরিযায়য় পাখির অবাদ বিচরণ এবং এটি সংরক্ষনের দাবী জানান আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,  ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, দুই ব্রিটিশ পাখি বিশেষজ্ঞ বিল উইলিয়াম জোন্স ও স্টিফেন স্যামওরথ, নেদারল্যান্ডস এর পাখি বিশেষজ্ঞ টন। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য সামিউল মোহসেনিন এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব এর সচিব দুইবার এভারেস্ট বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী এম এ মুহিত। উপকূলীয় অঞ্চলে পাখি রক্ষায় সবাইকে সচেতন করার আহ্বান জানিয়েজেন আয়োজকরা।