নির্বাচনী আমেজে সরগরম হয়ে উঠছে রমাগঞ্জ ও লডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন

এম.আর.পারভেজ: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘোষণার পর পর সরগরম হয়ে উঠেছে রমাগঞ্জ ও লডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন। প্রথম বার দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ঘোষণা আসায় দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে  নতুন ও পুরাতন হেভিওয়েট চেয়াম্যান প্রার্থীরা।  চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণের সুযোগ নিয়ে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন । এমনকি অনেকে ঈদের শুভেচ্ছা ও নতুন বছরের শুভেচ্ছার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পরিচিত হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন। উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নটি ১৯৭১ সালে গঠিত হওয়ার পর  থেকে টানা ৪৪ বছর প্রায় বিএনপির সমর্থিত চেয়ারম্যানরাই শাসন করছেন।
গত ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়ন ও জনসাধারণের নাগরিক সুবিধা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সুযোগে কাজে লাগিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা সাবেক মন্ত্রী মেজর (অবঃ)
হাফিজ উদ্দিনের ভাতিজা জাফর ইকবাল বিএনপির মনোনয় পতে প্রস্তুত হয়ে আছেন বলে তার নাম শুনা যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে এই ইউনিয়ন থেকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সহ ৮ জনের নাম শুনা যাচ্ছে। এ মধ্যে সরকারদলীয় প্রার্থীর সংখ্যায় বেশী। মেম্বার পদে ও প্রতি ওয়ার্ডে প্রায় হাফ ডজন প্রার্থীর নাম শুনা যায়। তবে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে চেয়ারম্যান পদের দিকেই টার্গেট সবার। এইউনিয়নের হেভিওয়েট সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, আ’লীগ থেকে বর্তমান ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি  গোলাম মোস্তফা মিয়া, ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, ইউনিয়ন আ’লীগ সহÑসভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ (সেলিম) ,ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আ’লীগ এর সদস্য আনোয়ার রাব্বী, বিএনপি থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন ,সাবেক চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল, জিয়ামঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহি সদস্য খায়রুল হাসান কাঞ্চন মিয়া ও ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. তোফায়েল আহমদের নাম শুনা যাচ্ছে। অপর দিকে লর্ডহার্ডিজ্ঞ ইউনিয়নে আ’লীগ এর একাধিক প্রার্থীর থাকলেও বিএনপির একক প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে। আ’লীগ থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান মো.আবুল কাশেম মিয়া, লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল বাছেত মিয়া,উপজেলা  আ’লীগ বন ও পরিবেশ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন ও বিএনপি থেকে মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিনের ভাতিজা মাওঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমদের নাম শুনা যায়, তার ব্যাক্তিগত জনসমর্থনের কারনে নমিনেসন তিনি পেতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তবে সকল প্রার্থীরা দলীয় নমিনেশন পাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। এদিকে বসে নেই মেম্বার প্রার্থীরা।এসকল ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে প্রায় হাফ ডজন মেম্বার প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে।