রবিবার ● ২৪ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনের কোচিং বাণিজ্য জম জমাট
লালমোহনের কোচিং বাণিজ্য জম জমাট
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার লালমোহনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিদের্শকে অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে কোচিং বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে । ভোলা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন -কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা তোয়াক্কা না করে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। তথ্য ও অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোমলমতি অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের কোচিং এ পড়ার জন্য বাধ্য করে কিছু অসাধূ শিক্ষকরা।
এরা কোচিং বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে অনেকে। ছাত্র/ছাত্রীরা কোচিং এ ভর্তি না হলে পরিক্ষায় ফেল করানো হবে এমন ভয় দেখানোর অভিযোগ বরেছে কিছু অসাধু শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে কর্তারহাট বাজার বাংলালিংক টায়ার সংলগ্ন শিক্ষক পলাশ এর নির্মাণাধীন ঘরে চলছে কর্তারহাট কোচিং সেন্টার।
এখানে যেসকল শিক্ষক রয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষক বর্তমানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়জিত রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবে বাস্তবায়ন না করে কোচিং বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। এতে একদিকে যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা হ্রাস পাচ্ছে , তেমনি মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীরাও প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে অভিভাবকদের ও আর্থিক হয়রানির শিকার হতে হয়। কর্তারহাট কোচিং সেন্টারের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র তানভির ও রিয়া জানায়, তাদেরকে প্রতি মাসে ছয় শত টাকা করে কোচিং ফি দিতে হয়। কর্তারহাট কোচিং সেন্টারের পরিচালক আমিরুনেচ্ছার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে লালমোহন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কোচিং সেন্টারের ব্যাপারে আমরা খুব শিঘ্রই প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেবো। মাননীয় এমপি মহাদয়ের সহযোগিতায় নিয়ম এবং নীতি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্ররিচালিত হবে।
কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে গরীব মেধাবি ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পড়া লেখার সু-ব্যবস্থা করে দেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সচেতন মহল।