

শনিবার ● ২৫ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে অর্ধশত বছরের জামে মসজিদে আযান ও নামাজ পড়া বন্ধ, ক্ষোভ
লালমোহনে অর্ধশত বছরের জামে মসজিদে আযান ও নামাজ পড়া বন্ধ, ক্ষোভ
লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে অর্ধশত বছর আগের নির্মিত জামে মসজিদে গত দেড় মাস ধরে আযান ও নামাজ পড়া বন্ধ রয়েছে। এঘটনায় ওই এলাকার মুসুল্লীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় মুসুল্লিদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড চতলা গ্রামের মৃত মোঃ সোনা মিয়া পিতা মৃত আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, কালা মিয়া, ওমর মিয়া উভয় পিতা মৃত গণি মিয়া গত ২০/১১/১৯৮০ ইং সনে চতলা মৌজার এসএ ৩১৮ নং খতিয়ানের ৩৪৩৯/৩৪২৮/৩৪২৬ দাগ ভূক্ত ৩২ শতাংশ জমি ওই জামে মসজিদের নামে ছাপ কাওলা করে (দলিল) দেন। এবং ওই জমিতে একটি জামে মসজিদ নির্মাণ করে মসজিদের কমিটি গঠন করে ওই জমি মসজিদের কমিটিকে বুঝিয়ে দেম। তখন থেকে ওই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত আযান ও নামাজ আদায় করে আসছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। কিন্তু দীর্ঘ ৪৩ বছর পর জমি দাতার মোঃ সোনা মিয়ার মৃত্যুর কয়েক বছর পর তার ছেলে মোঃ সায়েদুল হক ভূঁইয়া মসজিদের ভোগ দখলীয় জমি ও পুকুর দাবী করেন। এতে মসজিদের মুসুল্লিদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ওই মসজিদে আযান, নামাজ (জুমার নামাজ সহ) পড়া বন্ধ রয়েছে ঐতিহ্যবাহী অর্ধশত বছরের জামে মসজিদটি। মসজিদে নামাজ না পড়ার ব্যাপারে কমিটির অর্থ সম্পাদক (ক্যাশিয়ার) মো. মহিব উল্যাহ ও স্থানীয় মুসুল্লি আনা উল্যাহ, আলা উদ্দিন, মো. কবির, মো. জাফর, মো. মুশফিক মঞ্জু মাষ্টার, মজিবুল হক, নুরুল হক, সিরাজুল হক,সেলিম, এন্তাজ মাঝি প্রমূক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে এ মসজিদে আমরা এলাকাবাসী ও মুসুল্লিরা নামাজ কালাম, ইবাদাতসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি। কিন্তু শতভাগ মুসলিম অর্ধষিত এলাকার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে যা আমাদের মুসলমানদের জন্য জঘণ্যতম । তারা আরও বলেন জমি দাতা সোনা মিয়ার ছেলে ছায়েদুল হক ভুঁইয়া হঠাৎ মসজিদের ভিটা ও পুকুর রেকর্ড করে এনে নিজের দাবী করতে থাকে, এমনকি মসজিদের এড়িয়ার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করপ দিয়েছে তিনি। এবং মসজিদের পুকুরে ওযু করতে গেলে মুসুল্লিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাই আমরা এলাকাবাসী ও মুসুল্লিরা ধর্মীয় মাওলানা ও মুফতির নিকট মাসালা জানতে পারি যে কোন মালীকানা জমিতে নির্মিত মসজিদে নামাজ, জুমার নামাজ পড়লে তা হবেনা। তাই আমরা গত ফেব্রুয়ারী থেকে ওই মসজিদে আযান ও (৭ জুমার নামাজ সহ) নামাজ আদায় করছি না। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, বাবা ও চাচারা জমি দলিল করে দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করে দিয়ে গেছেন। কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর এত বছরের মসজিদের জমি তার ছেলে দাবী করে (কাগজ তৈরি করে) এভাবে মসজিদের জমি দখলে নেওয়া বা দাবী করা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ছায়েদুল হক ভুঁইয়া বলেন, আমি ওই মসজিদে নামাজ পড়ি না। মসজিদের জমি দাবী ও দখল করিনি। আমার জমি আমি দাবী করছি, এ নিয়ে শালিস ও হয়েছে কয়েক বার। এব্যাপারে লালমোহন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই এলাকা থেকে আমাকে ফোন করে অবগত করেছে। বিষয়টি অতান্ত্য দুঃখজনক। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-এমআরপি/এফএইচ