ভোলায় বিএনপির সমাবেশে গুলিবিদ্ধ জেলা ছাত্রদের সভাপতি নুরে আলম মারা গেছে! শোক ও নিন্দা জ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিনিধি: বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলার বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম গত ৩দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে অবশেষে মারা গেছেন। বুধবার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটের সময় ঢাকার গ্রীণ রোড কমফোর্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবীর আলমগী।

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্র দলের সভাপতি সবুজ জানান, গত ৩১ জুলাই বিএনপি ঘোষিত সারাদেশে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলা জেলার বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বিএনপির সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল রহিম নিহত হন। এতে জেলা ছাত্রদের সভাপতি নুরে আলম গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক বিএনপির নেতা কর্মী আহত হয়। এসময় গুরুত্বর আহত নুরে আলমে মাথা, বুক, হাত-পা ও মুখমণ্ডলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এতে তার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।

 প্রথমে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শেরে-বাংলা (শেবাচিম) মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা নিউরো সায়ন্স হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এর পর নিউরো সায়ন্স হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে ওই হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রীণ রোড কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার  কমফোর্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে তার মৃত্যু হয়।

জেলা ছাত্রদের সভাপতি নুরে আলম মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা, শোক ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান  ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ,  ভোলা-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম, ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, ভোলা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনন্দলিব রহমান প্রার্থ, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ ট্রুম্যানসহ জেলা বিএনপির  অঙ্গসংগঠনের  নেত্রী বৃন্দ।

-এফএইচ