

বুধবার ● ৩ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দৌলতখানের মহসিন মেম্বারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
দৌলতখানের মহসিন মেম্বারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টা: ভোলার দৌলতখান উপজেলার ৯নং ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (৯নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য মোঃ মহসিন ফরাজী এর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, রেশন কার্ড, ভিজিডি কার্ড ও জেলেদের চাল আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্যের ছেলে মোঃ বিল্লাল শারীরিক ভাবে সুস্থ এবং সচল। কিন্তু ইউপি সদস্য দুঃস্থ অসহায় প্রতিবন্ধীদের না দিয়ে তার সুস্থ ছেলের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা ও তার দুই মেয়ের নামে মাতৃত্বকালীন ভাতা ও রেশম কার্ড করে দেন ইউপি সদস্য মহসিন। এছাড়াও তার আত্মীয় স্বজনদের নামে। উল্লেখ্য তাদের মাতৃত্বকালীন ভাতা ভোগ করার মতো কোনো সন্তান নেই। ইউপি সদস্য মহসিনের বোনের ছেলে আনাছ, ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নয় কিন্তু পাচ্ছে রেশনকার্ড হতে শুরু করে সব কিছুর সুযোগসুবিধা। প্রায় ৩৩ টি রেশন কার্ড এর ভিতরে ১৪ এর অধিক তার আপন ভাই, চাচতো ভাই, ভাইগ্না, ভাতিজা সহ আত্মীয়স্বজনদের ভিতরে দিয়েছেন। এ যেনো এক হরিরলুট। জাহানারা বেগম ও অন্যরা অভিযোগ করেন, রেশন কার্ড, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা করতে হলে প্রত্যেককে গুনতে হয় ৪০০০-৫০০০ হাজার টাকা। টাকা না দিলে হচ্ছে না সেই সব কার্ড। কার্ডের নাম দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা। স্বজনপ্রীতিদের নামে রেশম কার্ড, জেলেদের চালসহ বিভিন্ন সহযোগিতা আত্মসাত করেছেন এই ইউপি সদস্য। হামেলা খাতুনসহ একাধিকরা অভিযোগ করেন, কোন অসহায় ও দুরস্ত পরিবার তার কাছে গেলে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করে গায়ে হাত তুলে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিতেন সাবেক এই ইউপি সদস্য মহসিন। প্রায় প্রতিটি রেশম কার্ড, ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সব কিছু টাকা দিয়ে করতে হয়। জেলেদের চাউল সহ প্রায় সবকিছুতে তার দূর্নীতি। উল্লেখ্য, ১২ মে ২০২১ ইং তারিখে জেলেদের চালের অনিয়ম পেলে সাংবাদিক তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করেন এবং এক পর্যায় সেই ইউপি সদস্য তাকে বিভিন্ন হুমকি দেন। এ নিয়ে সংবাদ মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিলো। এবিষয় জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মহসিন ফরাজীর তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
-এজে/এফএইচ