

বুধবার ● ১৫ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » শশীভুষণে খেলাকে কেন্দ্র করে আ’লীগ বিএনপির সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ৮
শশীভুষণে খেলাকে কেন্দ্র করে আ’লীগ বিএনপির সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ৮
বিশেষ প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষণ বাজারে কেরাম বোট খেলা নিয়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে প্রায় ৬ ঘন্টা সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে , মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার শশীভুষণ রাজারের পাকা সেতুর গোড়ায় ছাত্রদল কর্মী মো হাসান ও শ্রমিক লীগ সদস্য মো মাসুম কেরাম বোট খেলছিল। ওই খেলা নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে হাসানকে মাসুম ও তাঁর ভাই মো কবির বেধরক মারপিট করে। এ খবর পেয়ে হাসানের ভাই মো হেলাল ও মো রিপন এসে মাকসুদুর রহমান ও মো মাসুমকে মারধর করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী লীগ একতাবদ্ধ শশীভুষণ বাজারে বিক্ষোভ করে। এসময় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাদের মালিকানাধিন ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এ ঘটনা চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। পরে পুলিশ মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সংঘর্ষে বিএনপি সমর্থক মো. বেলাল কারিগর, মো. আক্তার হোসেন, হযরত আলী, মো.রিপন, মো.হেলাল, মো.হাসান এবং শ্রমিক লীগের মাকসুদুর রহমান, মো.মাসুম ও মো.হেলালসহ ৮ জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে শ্রমিক লীগের মাকসুদুর রহমান, মো.মাসুম ও মো.হেলালকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। বিএনপির সমর্থকরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনায় মো মাকসুদুর রহমানের বাবা আ আলী থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন।
শশীভুষণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গেছিলেন বিষটির মিমাংসার জন্য। মিমাংসাও করেছিলেন। কিন্তু ঘটনাকে রাজনৈতিক খাতে নিয়ে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ একত্র হয়ে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কয়েক দফা হামলা চালায়। তাঁর সেনেটারী দোকানের প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল ভেঙে ক্ষতি করেছে।
সম্পাদক আরও বলেন, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ শুধু তাঁর নয়, এ্যাওয়াজপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি হাবিবুর রহমানের বইয়ের দোকান, এ্যাওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.বেলাল কারিগরের বেলাল মেশিনারিজ, বিএনপির কর্মী আক্তার হোসেনের আক্তার কফি হাউজ ভাংচুর করেছে। তাঁদেরকে বাজারে উঠতে দিচ্ছে না।
আহত শ্রমিক লীগ নেতা মাকসুদুর রহমান বলেন, তিনি মিমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে হাসান-হেলাল তাঁকে ও তার ভাইকে পিটিয়ে জখম করে। তাঁর বাবা মো. আঃ আলী বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলার এজাহার জমা দিয়েছেন। তবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুরের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা হানিফ শিকদার বলেন, ঘটনাটি আওয়ামীলীগ বিএনপির ছিল না। কেরামবোট খেলা নিয়ে সংর্ঘষ। পরে রাজনৈতিক খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে। কেউ মামলা করেনি। তবে ক্ষমতাশিন পক্ষের বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
-এসপি/এফএইচ