শিরোনাম:
●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী
ভোলা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
বৃহস্পতিবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চাকরির খবর » মেঘের রাজ্য সাজেক
প্রথম পাতা » চাকরির খবর » মেঘের রাজ্য সাজেক
৬১০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মেঘের রাজ্য সাজেক

মেঘের রাজ্য সাজেক

ডেস্ক • ভোরের আলো ফোটার আগে অথবা সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে পাহাড়ের উপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেই মেঘ ভেসে যাবে আপনার চারপাশ দিয়ে। আর এসময় যদি বৃষ্টি হয় তাহলে দেখা যাবে, বৃষ্টির মধ্যে মেঘ ভেসে যাওয়ার দৃশ্য। আর এ সময় মেঘ-সূর্যের লুকোচুরিতে সবুজ পাহাড়গুলো হয়ে উঠে আরও আকর্ষণীয়। এমন দৃশ্য প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের অপরূপ লীলাভূমি পাহাড়-টিলার রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের। সেখানে গেলে দেখা যাবে, পাহাড়ের গায়ে সব সময় চলে মেঘের নাচন। আবার দূর থেকে দেখলে মনে হয়, পাহাড়ের গায়ে ডানা মেলেছে মেঘ। রুইলুই পাড়া ও কংলাক পাড়া নিয়ে গঠিত ‘সাজেক’ এর সবুজ পাহাড়ের চূড়া ঘিরে রয়েছে সাদা মেঘের আবরণ। দিগন্ত বিস্তৃত উপত্যকা মিশে গেছে মিজোরামের নীল পাহাড়ে (ব্লু মাউনটেইন)। বর্ষায় সাদা তুলোর মতো ছোট ছোট মেঘের স্তুপ ভেসে বেড়ায় পাহাড়ের বুকে। উপত্যকার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হবে এই কি অপার্থিব সৌন্দর্য! সাজেকের এই অসাধারণ দৃশ্য এই দুটি পাড়া থেকেই উপভোগ করা হয়। সাদা মেঘে ঢেকে যাওয়া রুইলুই পাড়া, কংলাক পাড়া ও সাজেক ভ্যালির পাহাড় চূড়া। সেখানে গেলে বর্ষায় মেঘের দল আপনাকেও ভিজিয়ে দেবে। পাহাড়ের আকাশে মেঘের পেখম থেকে অঝোর ধারায় নামে বৃষ্টির ধারা। রুইলুই পাড়ার সাজেক পয়েন্টে একটি হেলিপ্যাড রয়েছে। হেলিপ্যাডের সামনেই ‘সাজেক পয়েন্ট’ ফলক উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও এখানে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) শেষ বর্ডার আউট পোস্ট। রুইলুই পাড়ায় সাজেক রিসোর্ট ও রুনময় রিসোর্ট নামে দুটি রির্সোট আছে সেনাবাহিনী পরিচালিত। এনজিও সংস্থা আলো পরিচালিত আলো রিসোর্ট ছাড়াও সেখানকার বাসিন্দাদের পরিচালনায় আরও ১৫-২০টি রিসোর্ট রয়েছে। এখানে হরাইজোন গার্ডেন, স্টোন গার্ডেন ও ঝাড়ভোজ পিকনিক স্পট নামে তিনটি গার্ডেন আছে। প্রতিটি গার্ডেনের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। সাজেকের শেষ গ্রাম রুইলুই পাড়া থেকে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের হাঁটা পথে দুই কিলোমিটার দূরের কংলাক চূড়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ২শ’ ফুট উপরে সাজেকের এই গ্রামটি। কংলাক পাড়া থেকে দেখা যাবে পুরো মেঘের রাজ্যটিকে। লুসাইদের মতে, কংলাক পাহাড়ই দেশের সবচেয়ে সবচেয়ে উঁচু চুড়া। পাহাড় দেখার উপযোগী সময় বর্ষাকালেই এ দৃশ্য সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। কারণ এই সময়ে কম-বেশি বৃষ্টি হয় পাহাড়ে। কচকচে সবুজের বেষ্টনিতে কেবলি বৃষ্টির বড় বড় ফোটা! বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর রূপ ফুটে বের হয় তার। সাদা মেঘের কুণ্ডলী বিস্তৃত গভীর উপত্যকা বেয়ে ওঠে। সাদা মেঘে ঢেকে যায় পুরো ভ্যালি, এ যেন মেঘের উপত্যকা। বিশাল পাথর খণ্ডের কোল ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা রুইলুই পাড়ায় আদিবাসী লুসাইদের বসবাস। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন হেডম্যান লাল থাংগা লুসাই। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলা। সাজেকের রুইলুই পাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮শ’ ফুট উঁচুতে। এখানে লুসাই, পাংখোয়া ও ত্রিপুরাদের বসবাস। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সাজেকের প্রথম বসতি ‘রুইলুই পাড়া’। ২০১৪ সালের তথ্যানুযায়ী ৬০৭ বর্গমাইল এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। সাজেক থেকে ভারতের মিজোরাম সীমান্তের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।