শিরোনাম:
●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী
ভোলা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভোলার সংবাদ
মঙ্গলবার ● ২৩ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » শিরোনাম » সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা অসম্ভব
প্রথম পাতা » শিরোনাম » সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা অসম্ভব
৫১২ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৩ আগস্ট ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা অসম্ভব

 ---

ডেস্ক: বাংলাদেশ ও ভারত সরকার মিলে বাগেরহাটের রামপালে ১৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চাইছে। প্রকল্পের কাজ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসিকে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে। পরিবেশ আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে— এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে নষ্ট হবে পরিবেশের ভারসাম্য, নষ্ট হবে সুন্দরবনের সৌন্দর্য।

ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন চুক্তি বাতিলের দাবি উঠেছে। নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রকল্প বাতিলের আন্দোলনে প্রথম থেকেই রয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে কিছু বলুন।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন ধ্বংস করার একটি পরিকল্পনা। ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক যারা এর পেছনে রয়েছে তারা আমাদের দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতে চায়, সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে চায়। সুন্দরবন আমাদের রক্ষাকবচ, সুন্দরবন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচায়, বহু মানুষের কর্মসংস্থান করে, সেই সুন্দরবন তারা ধ্বংস করবে। সুন্দরবন ধ্বংস হলে তারা আনন্দ করবে। আর আমাদের দেশের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তখন কান্নাকাটি করে লাভ হবে না। অতএব আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ রুখে দাঁড়ানো। সুন্দরবন ধ্বংসের সর্বনাশা তৎপরতা আমরা যদি রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিহত না করতে পারি, প্রতিরোধ না করতে পারি তাহলে আমরা কুলাঙ্গার সন্তান।

হাজার বছর ধরে পলি জমে জমে একটা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট তৈরি হয়, এখনো হচ্ছে। শুধু ওখানে যে হয়েছে তা নয় আশেপাশেও প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এখন আকার ছোট, কিন্তু ধরেন ২ হাজার বছর পরে আরো বড় হবে, দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ সমুদ্রের দিকে বন বড় হচ্ছে। আরো বড় হবে যদি এটিকে বাঁচিয়ে রাখি।

আমাদের সুন্দরবনের দুইটি শত্রু রয়েছে, একটি হল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো শিল্প প্রতিষ্ঠান, আরেকটি হল ফারাক্কা বাঁধ। আমাদের দেশে যে মিষ্টি পানি আসত ভারত এই বাঁধ দিয়ে অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছে। এতে মিষ্টি পানির স্রোতের তীব্রতা, পরিমাণ কমে গেছে, ফলে জোয়ারের সময় সমুদ্রের নোনা পানি আগে যতদূর পর্যন্ত আসত এখন তার থেকে অনেক বেশি দূরে আসছে। এতেও সুন্দরবনের ক্ষতি হচ্ছে, বনের ভেতরে যে সব বৃক্ষ রয়েছে তাদের স্বাভাবিক গ্রোথ হচ্ছে না। অপতৎপরতাগুলোকে যদি আমরা ঠেকেতে পারি তাহলে সুন্দরবন প্রাকৃতিকভাবেই আরো সমৃদ্ধ হবে।

সরকারের কী কারণে মনে হচ্ছে যে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে তাদের বেশি সুবিধা?
তারা দেশের মঙ্গল চায় না, তাদের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণ করতে চায়, তাদের পেছনে যারা আছেন তারা তাদের পকেট ভারি করতে চায়।

সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্র না করে অন্য কোথাও করেও তো এর সাথে জড়িতরা তাদের পকেট ভারি করতে পারে…
অনেক ভালো প্রশ্ন করেছেন, না তা করতে পারবে না। কারণ ওই তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য প্রতিদিন ১১ হাজার টন কয়লা নিয়ে আসতে হবে, এ জন্য গভীরতার নদী দরকার হয়, এর গভীরতা ১৩ মিটার হতে হবে। এই গভীরতায় সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নাব্যযুক্ত নদী রয়েছে। তাদের লক্ষ্য শুধু সুন্দরবন ধ্বংস করা তা নয়, তাদের লক্ষ্য অল্প খরচে কয়লা নিয়ে আসা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এরকম নাব্যযুক্ত নদী সুন্দরবনের মধ্যেই রয়েছে। এই প্রকল্পে যে লাভ হবে তার ৫০ শতাংশ ভারত সরকার পাবে। ভারতীয় অংশকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এই প্রকল্পটা পশ্চিমবঙ্গে যদি করা হত তাহলে কি ভারত সরকার রাজি হত? কোনো উত্তর তারা দিতে পারেনি।

ভারতের আইনে কোনো বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না এবং যে কোম্পানি রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ করছে (এনটিপিসি) সেটা তো ভারতে প্রকল্প করতে পারেনি, তাহলে ভারত সরকার কেন এ প্রকল্পের জন্য কাজ করছে?

এটা হলো তাদের (ভারতের) আধিপত্যবাদ। আমাদের কথা তাদের চিন্তা করার কোনো দরকার নেই, তাদের দরকার মুনাফা। এটার মাধ্যমেই প্রমাণ হয় আমরা তাদের কাছে কতটা নতজানু কিংবা তাদের দাস।

সরকার বলছে সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতিতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে, এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
ওটাতো বাকোয়াজ, এই পদ্ধতিতে করলে ১০ শতাংশ দূষণ কম হবে, এইটুকু কমালে কি দূষণ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে? না হবে না। কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ তাদের স্বার্থের কারণে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন চাইছে।

 

সুন্দরবনের কিছু অংশ ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ (বিশ্ব ঐতিহ্য) ঘোষণা করেছে, তো সুন্দরবনের ক্ষতি হলে এরও ক্ষতি হবে, এতে ইউনেস্কো কী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে?
অবশ্যই তারা সরকার কে চিঠি দিচ্ছে, সরকার জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের কোনো ক্ষতি হবে না। ইউনেস্কো মনে করিয়ে দেয় যে তোমরা কিন্তু স্বাক্ষর করেছ যে ওই সুন্দরবন এলাকার পানির কোনো ক্ষতি করা হবে না। রামসার কনভেনশন হয়েছিল সেখানে যে সকল জায়গা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয় এবং যারা এর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে রামসার চুক্তি অনুযায়ী তারা নিয়ম মানতে বাধ্য।

এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিকভাবে কী লাভ রয়েছে? সরকার কেন এই প্রকল্প বাতিল করতে চাইছে না?
সরকারের লাভ হচ্ছে, আগে দেখতে হবে কাদের সরকার এটা, এটা হল পুঁজিবাদীদের সরকার। এখানে তো পুঁজিবাদীদের লাভ হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন প্রকল্প করার জন্য মাটি ভরাট করছে, তাতে তারা অনেক ফ্যাক্টরি করবে, অনেক জায়গাজুড়ে। এরইমধ্যে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্লট তৈরি করছে। এতে তাদের লাভ হচ্ছে। সুন্দরবন ধ্বংস করার পর এর আশপাশে কলকারখানা তৈরি করা সম্ভব হবে।

আপনি কি মনে করেন এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মুখ দেখবে?
জনগণ তাদের স্বার্থ বুঝবে না তা তো হতে পারে না, আমরা দেশের যেখানেই গিয়েছি সেখানেই আমাদের সমর্থন দিয়েছে। তবে কিছু এরিয়া থাকতে পারে যেখানে আমরা যেতে পারিনি। কিন্তু আমাদের মেসেজ দেশের সব জায়গায় পৌঁছে গেছে। এত মানুষ এর বিপক্ষে রয়েছে যে তার জন্য ওরা আতঙ্কিত। আমি মনে করি যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে না। কিছুতেই হতে পারে না।

কিন্তু সরকার তো আস্তে আস্তে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে?
সরকার তো অনেক কিছুই করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। শুধু বর্তমান সরকার নয় এটা কোনো সরকারই বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তারা অন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজ করতে পারবে কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা অসম্ভব। কারণ দেশের মানুষকে আমরা সচেতন করতে পারছি। ৮০ শতাংশ মানুষ সচেতন হয়ে গেছে, তারাই এখন রুখে দাঁড়াবে। যেমন আমরা ফুলবাড়িতে কয়জন মানুষ গিয়েছিলাম? সেখানে কিন্তু উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে।

কিছুদিন আগে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অভিমুখে যাত্রায় পুলিশ আপনাদের বাধা দেয়, তো এরকম ভাবে যদি আপনাদের আন্দোলনে বাধা আসে তখন কী করবেন?
এই বাধাইতো আমাদের শক্তির উৎস। দেখুন এই যে গাছ লম্বা হয় কিন্তু মাটি অভিকর্ষ শক্তি দিয়ে নিচের দিকে দমিয়ে রাখতে চায়, তারপরও কিন্তু গাছ বড় হয়। বাধা ছাড়া কোনো উন্নতি হয় না, এমন কোনো জায়গা নেই যে যেখানে বাধা নেই।

আপনারা বারবার বলছেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প জায়গা রয়েছে কিন্তু সেটা কোথায়?
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে, এখানে এরকম বিদ্যুৎ প্রকল্প করা যাবে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় দেওয়ার জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ





শিরোনাম এর আরও খবর

উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায়
ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত
ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময়
চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস
ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী
ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।