শুক্রবার ● ১৫ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ‘জঙ্গি দমনে প্রস্তুত ভোলার ৫২ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা’
‘জঙ্গি দমনে প্রস্তুত ভোলার ৫২ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা’
ইকরামুল আলম: ভোলায় জঙ্গি দমনে মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুত রয়েছে ৫২ হাজার চৌকশ আনসার ও ভিডিপি সদস্য। এরা পুরো জেলায় জঙ্গী প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এই বাহিনীকে আরো বেশী সক্রিয় হয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। জঙ্গী প্রতিরোধে এ বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন কৌশলী ভূমিকা রাখার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারীতে রাখা হয়েছে পুরো জেলাকে।
বৃহস্পতিবার একান্ত স্বাক্ষাতকারে ভোলা জেলা আনসার ও ভিডিপি বাহিনী জেলা কামান্ড্যান্ট জানে আলম সুফিয়ান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সে নির্দেশে পাওয়ার পরই আনসার বাহিনীতে এ নতুন কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তাই যে কোন মূল্যে জঙ্গি হামলা থেকে ভোলাকে রক্ষা করা হবে।
আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট জানে আলম সুফিয়ান আরো বলেন, জঙ্গি দমনে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইউনিয়ন লিডার কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ের ২০০ জন ইউনিয়ন লিডার ও ১০৮ জন ওয়ার্ড লিডার মাঠে রয়েছেন। তারা এলাকাগুলোকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
এছাড়াও এতিমখানা, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, মসজিদ ও লিল্লাহ বোডিংগুলোতেও বিশেষ নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। যেখানে অপরিচিত বা সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই খোঁজ- খবর নিয়ে নিতে বলা হয়েছে। প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেছেন,জঙ্গি সন্দেহের তালিকায় হিজড়া জনগোষ্ঠীও রয়েছে, তাই তাদের উপরও বাড়তি নজরদরি রাখা হবে।
এছাড়াও এলাকার যুবকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হবে। হঠাৎ করেই তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সন্দেহজনক হলেই তারা সন্দেহের তালিকায় চলে আসবে।
তিনি বলেন, যেহুতো ভোলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌ-পথ, তাই নৌ পথকেও গুরুত্বের সাথে দেখবে আনসার বাহিনীর সদস্যরা। লঞ্চগুলোতে বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি যাত্রীদের তল্লাশি চালানো হবে।
কোন মতেই জঙ্গিরা যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে জন্য বিশেষ সতর্ক অবস্থানে থাকবে আনসার বাহিনী। এ সতর্কতার মাধ্যমে জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা করা হবে দ্বীপজেলাকে। এ সময় জঙ্গি দমনে তিনি আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে ০১৫-১১১-৭৭৭-১১ নাম্বারে ফোন করে তথ্য দেয়ার জন্য আহব্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জানে আলম দ্বীপজেলা দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে আনসার বাহিনীতে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ঢেলে সাজিয়েছেন পুরো বাহিনীকে। তার দক্ষতার কারণে ভোলায় আনসার বাহিনীর সুনাম অর্জিত হয়েছে।