

সোমবার ● ২ মে ২০২২
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে ঈদগাঁয়ে নামাজ পড়তে নিষেধ করলেন ইউপি মেম্বার হারুন
চরফ্যাশনে ঈদগাঁয়ে নামাজ পড়তে নিষেধ করলেন ইউপি মেম্বার হারুন
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে ঈদ-গাঁ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে নিষেধ করার অভিযোগ উঠেছে চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ডাক্তার হারুন এর বিরুদ্ধে। শনিবার বিকালে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত গোলদারহাট ঈদ-গাঁ মাঠের ৪শতাংশ জমি দাবি করে পল্লী চিকিসৎক হারুন মাঠের প্রাচীরে রঙ দিয়ে লাল দাগ টেনে দিয়ে দাগের ভেতরে যেন কেউ ঈদের নামাজ না পড়ে এ জন্য স্থানীয় এলাকাবাসীসহ ঈদগাঁ কমিটিকে হুশিয়ার করে দেন।
এখবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় ওই এলাকার স্থানীয় সাধারণ ও মুসল্লিদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে ঈদের পরে দুই পক্ষকে ডেকে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে ঈদ-গাঁ কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম সৈয়াল অভিযোগ করেন, মরহুম ইদ্রিস গোলদার, জেহান আলী গোলদার ও রুহুল আমিন গোলদার স্থানীয় মসজিদ, ঈদ-গাঁ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও স্বাস্থ্য ক্লিনিকের জন্য ২ একর ২৪ শতাংশ জমি দান করেন। যার দিয়ারা রেকর্ড খতিয়ান নং ১৫২৭ ও দাগ নং ১২২০ মৌজা হাজারীগঞ্জ। ঈদগাঁয়ের নামে রয়েছে ১৪ শতাংশ জমি রেকর্ডভূক্ত হলেও এ জমির মধ্যে ১১৫ নং খতিয়ানের ১২২০ নং দাগে ৪ শতাংশ জমি রয়েছে সে জমিও দাবি করেন ইউপি সদস্য হারুন ।
জানা গেছে, স্থানীয় আক্তারুজ্জামন মালতীয়া গংদের কাছ থেকে এসএ ১৭৪ নং খতিয়ানের ৫ টি দাগে ১ একর ২০ শতাংশ জমি খরিদ করেন হারুন গং সেখান থেকে ১২১৯ নং দাগের ১১ শতাংশ জমি স্থানীয় রশিদ বেপারীর কাছে বিক্রি করেও এখনো পুরো ১ একর ২০ জোর পূর্বক ভোগ দখন করে আসছে হারুন গং। ১২২০ নং দাগের জমিতে অবস্থিত ঈদগাঁ মাঠের ভেতরের ৪ শতাংশ জমি রয়েছে ঈদ গাঁ এর নামে সেই জমিও হারুন দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম সৈয়াল। তিনি বলেন, এর আগে এই ঈদগাঁয়ের মেহরাব ভেঙে দোয়াল নির্মাণ করেন হারুন ।
এসকল অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি মেম্বর হারুন জানান, আমার মা বিবি মরিয়মের নামে এসএ নং ১৭৪ ও দাগ নং ২১৮ এবং দিয়ারা নং ১১৫/১ খতিয়ানে ১৫ শতাংশ জমি ৭৯ সনে সৈয়দুজ্জামান মালতীয়ার কাছ থেকে খরিদ করে রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই জমি থেকে ১১ শতাংশ জমি গোলদারহাট মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি নেসার গোলদার ও ইমাম মাওলানা সালাম মিয়াসহ একটি রেজুলেশন তৈরি করে আমার মা মরিয়ম আমাকে ১১শতাংশ জমি দলিল দেন। ওই ১১শতাংশ জমি আমরা ভোগদখলে থাকলেও বাকি ৪ শতাংশ জমি ঈদগাঁহ মাঠের দখলে রয়েছে। কিন্তু বর্তমান কমিটির লোকজন আমাদের ওই জমির মালিক অস্বীকার করেন।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার বলেন, আমার কাছে কমিটির লোকজন জানিয়েছেন। আমরা বিষয়টি ঈদের পরে উভয় পক্ষকে ডেকে সার্ভেয়ার দিয়ে জমির হিসাব করে সমাধান করা হবে।
-এপিএম/এফএইচ