

শুক্রবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় যুবলীগ নেতা টিটু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
ভোলায় যুবলীগ নেতা টিটু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলায় যুবলীগ নেতা টিটু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের স্ত্রী ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু। বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত যুবলীগ নেতা টিটুর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ছোট বেলা থেকেই সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ধনিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। সে ভোলায় সকলের কাছে আ’লীগের নিবেদিত কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিল।
মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু নৌকা প্রতিক নিয়ে বার বার নির্বাচিত। তিনি আমাদের পরিবারের একজন শুভাকাঙ্খী হওয়ায় আমার স্বামী তার নির্বাচনি প্রচারে অংশগ্রহণ করেন। তখন থেকে চকেট কামাল, চকেট জামাল ও তাদের ভাগ্নিনা শাহিন ও নীরব বিভিন্ন সময় আমার স্বামী টিটুকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছিল। তার পরেও তিনি দলীয় আর্দেশের কারণে সে নির্বাচনী প্রচারনায় কখনোই পিছপা হয়নি। গত ২৬/১১/২১ ইং তারিখ শুক্রবার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে মদনপুরে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন নান্নু এর সাথে সেখানে গেলে সেখান থেকে ভোলায় ফেরার পথে ধনিয়া ইউনিয়নে নাছির মাঝি ঘাটে আসলে ঘাট থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে দুইটি স্পীডবোট চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু ও তার ইউপি সদস্যদের লক্ষ করে এলোপাথারি গুলি ছুড়লে তখন চেয়ারম্যানকে রক্ষা করতে আসলে তখন তাদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
উক্ত ঘটনায় ভোলা সদর থানায় নিহত টিটুর বড় ভাই হানিফ ভুট্রু বাদী হয়ে জামাল, কামাল চকেট, হানিফ, নীরব সহ ১৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন। যার মামলা নং-৬৩। মামলাটি ডায়রিভুক্ত হয় ২৭/১১/২১ ইং তারিখে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মামলা এক সপ্তাহ পার হলে প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মমতাময়ী নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমার স্বামী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আ’লীগের নিবেদিত কর্মী, তার দুইটি ছেলে আমার স্বামী ও দুইটি বাচ্চার বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
এদিকে চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২৭ তারিখে ধনিয়া নাছির মাছি ঘাট ৪ কিলোমিটার দূরে ঘাটের কাছাকাছি আমাদের লক্ষ করে দুইটি স্পীডবোট এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে। তখন আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ভাতিজা যুবলীগ নেতা টিটু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসামীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দৌলতখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাকির হোসেন, থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
-রাজ