মঙ্গলবার ● ১৬ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » তজুমদ্দিন হাসপাতালের এক ডাক্তার যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত, বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগ
তজুমদ্দিন হাসপাতালের এক ডাক্তার যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত, বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগ
তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত থেকে বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে । তার এধরনের কর্মকান্ডে হাসপাতালে কর্মরত অন্যদের মাঝে এক রকমের ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন হিসেবে ২০২০ সালের ১১ জুলাই যোগদান করেন ডা. রুবানা ইয়াছমিন। যোগদানের পর থেকে তিনি কর্মস্থলে না থেকে ঢাকায় চলে যান। এক টানা ৪ মাস অনুপস্থিত থেকে ২২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে ৬ মাসের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি অনুমোদন করেন। তার মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করার পরও তিনি কর্মস্থলে নিয়মিত অনুপস্থিত থেকেই যাচ্ছেন। বার বার বলার পরও ডা. রুবানা ইয়াছমিন কর্মস্থলে যোগদান না করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। তারপরও কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় ডা. রুবানা ইয়াছমিনের সব ধরনের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ৩ মাস যাবৎ ডা. রুবানা ইয়াছমিনের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ডা. রুবানা ইয়াছমিন দীর্ঘ মেয়াদে হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এঘটনায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে হাসপাতালে কর্মরতদের মাঝে। ৩ মাস তার বেতন ভাতা বন্ধ থাকলেও এর আগে তিনি সব কিছু ম্যানেজ করেই বেতন ভাতা উত্তোলন করতে বলেন একটি সুত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের ক্যাশিয়ার মোঃ আকবর হোসেন (সবুজ) বলেন, ডাক্তারদের বেতন ভাতার বিল ভাউচার তারা নিজেরাই করেন। অফিস তাদের কোন বেতন ভাতার ভাউচার করে না তাই ম্যানেজের কোন প্রশ্নই আসে না।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত কেউ কেউ বলেন, ডা. রুবানা ইয়াছমিন নামে এই হাসপাতালে একজন সহকারী সার্জন রয়েছে তা আমরা জানতাম না আজ শুনলাম এই নামে একজন ডাক্তার হাসপাতালে রয়েছে।
এব্যাপারে ডা. রুবানা ইয়াছমিনের ব্যবহৃত নম্বরের বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পকিল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল বলেন, ডা. রুবানা ইয়াছমিন শারীরিকভাবে অসুস্থ্য ও তার পারিবারিক সদস্যা থাকায় তিনি কর্মস্থলে থাকতে পারছেন না বিষয়টি আমরা ও কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।