

বৃহস্পতিবার ● ১১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দৌলতখান ইউপি নির্বাচন, আটক, জরিমানা, ভোট না দিতে পারার অভিযোগ
দৌলতখান ইউপি নির্বাচন, আটক, জরিমানা, ভোট না দিতে পারার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে দৌলতখান উপজেলার ৭ ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নারী-পুরুষসহ সব বয়সী ভোটাররা কেন্দ্রগুলোতে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। ভোলা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর, উত্তর জয়নগর, চর খলিফা, চরপাতা, মেদুয়া, ভবানীপুর ও মদনপুর ইউনিয়নের অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭টি ইউনিয়নে ২৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৯৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৬ জন। তবে চর খলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামিম হোসেন অমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করে সঙ্গীসহ মোবাইল ফোন নিয়ে ভবানীপুর ইউনিয়নের ৫৭ নম্বর দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করার অভিযোগে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) আব্দুল মান্নানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এ জরিমানা আদায় করেন। অন্যদিকে দৌলতখান উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে রাকিব (২৪) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালীন সময়ে উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ২১ নম্বর উত্তর-পূর্ব মধ্য জয়নগর সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। রাকিব ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
অপরদিকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন নি দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কহিনুর বেগম (২৫)। তিনি বলেন, উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড শেখ রাসেল মেমোরিয়াল বিদ্যালয় অ্যান্ড বঙ্গবন্ধু কলেজের ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকে দুপুর ১ টার সময় বুথে গেছি ভোট দিতে। তখন স্যার বলছে, আমি রাইট আছি, আমার ছবি-নাম-ঠিকানা সব ঠিক আছে। কিন্তু আমার ভোট অন্য একজন দিয়ে দিছে। তিনি আরও বলেন, গত বছর বাড়িত থাইকাই হুনছি মাইনসের ভোট নাকি দিয়া দেয়। কেন্দ্রে যাওন লাগে না। এইবার আইছিলাম ভোট দিতে তাও পারলাম না।’ ভোট দিতে না পেরে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে হতাশ ওই নারী ভোটার ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে গেছেন।
-রাজ