বৃহস্পতিবার ● ৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দুর্যোগ মোকাবেলায় ভোলায় শতকোটি টাকা ব্যয় নির্মিত হচ্ছে ৩৮ মুজিব কিল্লা
দুর্যোগ মোকাবেলায় ভোলায় শতকোটি টাকা ব্যয় নির্মিত হচ্ছে ৩৮ মুজিব কিল্লা
বিশেষ প্রতিনিধি: দ্বীপ জেলা ভোলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩৮টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব কিল্লা নির্মাণ সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের’ মাধ্যমে এসব বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৬টি, দৌলতখানে ২টি, বোরহানউদ্দিনে ১টি, তজুমদ্দিনে ৯টি, লালমোহনে ৭টি, চরফ্যাশনে ৭টি ও মনপুরায় ৬টি কিল্লা রয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে এসব কিল্লায় কয়েক হাজার মানুষ ও গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। ইতোমধ্যে ৬টি কিল্লার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর কাজ শুরু করা হবে।
মুজিব কিল্লা নির্মাণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, মোট কিল্লার মধ্যে এ ক্যাটাগরীর ১৮টি ও বি টাইপ ২০ টি কিল্লা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ গ্রেডের কিল্লা ৫০ ফুট বাই ১২০ ফুট, বি গ্রেডে ১৬০ ফুট বাই ১৫০ ফুট জমির উপর নির্মিত হবে। প্রত্যেকটি কিল্লা জমি থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় একতলা বিশিষ্ট নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া এ ক্যাটাগরির কিল্লায় গবাদি পশু রাখা যাবে প্রায় সাড়ে ৪শ’ ও ৬২৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। বি গ্রেডের কিল্লায় ৪১০ গবাদি পশু ও সাড়ে ৭শ’ মানুষ দুর্যোগকালীন সময় অবস্থান নিতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ভোলা সদরে ২টি, মনপুরায় ৩টি ও চরফ্যাশনে ১টি মুজিব কিল্লার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যার অর্থ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে। বর্তমানে প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে এসবের কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রত্যেক কিল্লায় ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি পুরুষ ও নারীরদের জন্য আলাদা টয়লেট, সুপেয় পানি, হ্যারিং বনের রাস্তাসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকছে এখানে।
জেল ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: মোতাহার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর উপকূলীয় এ অঞ্চলে দুর্যোগে প্রাণহানী রক্ষায় প্রথম কিল্লা স্থাপনের উদ্যোগ নেন। তাই এগুলোকে মুজিব কিল্লা বলা হয়। ভোলা জেলায় মোট ২৪ টি মাটির কিল্লা রয়েছে। এর মধ্যে সচল রয়েছে ৭টি ও বাকিগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই সরকার অত্যাধুনিক মানের কিল্লা স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, জেলার দুর্গম চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় আগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব কিল্লা হচ্ছে। স্থানীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর এগুলো ত্বত্তাবধায়ন করছে। এসব কিল্লা বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের মানুষের জান মাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সাথে দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষের সক্ষমতা তৈরি হবে বলে মনে করেন তিনি।
-আভো/রাজ