

সোমবার ● ৩ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » দুলারহাটে মসজিদের ভিতরে ঈমামকে পিটালেন বিএনপির সভাপতি, ক্ষোভ ও উত্তেজনা
দুলারহাটে মসজিদের ভিতরে ঈমামকে পিটালেন বিএনপির সভাপতি, ক্ষোভ ও উত্তেজনা
দুলারহাট প্রতিনিধি: চরফ্যাসন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাজী ফিরোজ কিবরিয়া কর্তৃক মসজিদের ভিতরে মুসল্লিদের সামনে ইমামকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ সামছল হক কমান্ডার বাড়ীর দরজার জামে মসজিদে ঈদুল আযহা’র নামাজকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে মসজিদে সভাপতি ও সম্পাদক কর্তৃক সকল মুসল্লিদের আলোচনা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহা’র নামাজের সময় সকাল সাড়ে ৮ নির্ধারণ করা হয়েছিলো। সে অনুযায়ী ঈদের জামাত শুরু হয় সকাল পৌনে 9 টায়। জামাত শেষ হওয়ার পর ফিরোজ কিবরিয়া ৯টার দিকে মসজিদে প্রবেশ করে ইমামকে বলে সকল জায়গায় জামাত শুরু হয় ৯টায় আপনি কেন জামাত করলেন পৌনে ৯ করেছেন। এ নিয়ে কথা কাটা-কাটির সময় এক পর্যায়ে ফিরোজ কিবরিয়া মসজিদের মিম্বারের সামনে ইমামকে মারধর করেন।
মসজিদের ইমাম মোঃ নুর হোসেন প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ফিরোজ কিবরিয়া মসজিদে আসতে না পারায় ঈদের নামাজ জামাতের সহিত আদায় করতে পারেননি। এ নিয়ে ফিরোজ কিবরিয়া মসজিদের ভিতর মুসল্লিদের সামনে আমাকে মারধর করে। মারধর করার পর বাড়ী থেকে কামাল কমান্ডারের ছেলে ফারুক ও ফিরোজ কিবরিয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসলে মুসল্লিগণ তার কাছ থেকে এগুলো উদ্ধার করে।
এ নিয়ে দুলারহাট বাজারের সদর রোডে রবিবার বিকালে ক্ষুব্দ ও উত্তেজিত মুসল্লি সহ দুলারহাট থানা কওমী মাদ্রাসা ছাত্র কর্তৃক প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করে ফিরোজ কিবরিয়ার শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত ফিরোজ কিবরিয়া মুঠোফোনে প্রতিবেদকে বলেন, ইমামের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে তবে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, এ ব্যপারে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।