শনিবার ● ১৬ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দৌলতখানে ছাকিনা আদর্শ একাডেমির শিক্ষকদের দেখেনি কেউ, তবুও এমপিও ভুক্ত
দৌলতখানে ছাকিনা আদর্শ একাডেমির শিক্ষকদের দেখেনি কেউ, তবুও এমপিও ভুক্ত
স্টাফ রিপোর্টার: দৌলতখানে ছাকিনা আদর্শ একাডেমির এমপিও ভুক্তিতে সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ভোলা জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল মোর্শেদ। প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম জামাতের রোকন এক সময় ছাত্র শিবিরের ক্যাডার ও বহু মামলার আসামী এবং যুবকের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে আছেন। মো ঃ হাছান তারেক বর্তমান দৌলতখান উপজেলার জামায়েতের আমীর তাকেও দেওয়া হয়েছে ধর্মীয় শিক্ষক হীসেবে কিন্তু কোন শিক্ষক তাকে কোন দিন প্রতিষ্ঠানে দেখেনি, এছাড়া নিয়ম বর্হিভূত ভাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অন্য একটি এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক ও সভাপতির শ্যালক চরপাতা জামাত রোকন মিজানুর রহমানকে। মোঃ ইমাম হোসেন জামায়াতের রোকন তাকে দেওয়া হয়েছে গণিত শিক্ষক হিসেবে। ময়নুল হোসেন তাকে দেওয়া হয়েছে শারীরিক শিক্ষা তিনি জামায়তের সদস্য বর্তমানে ভোলা আদর্শ একাডেমীতে কর্মরত। গত দুই জাতীয় নির্বাচনের আগে নাশকতার সকল গোপন বৈঠক এ প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হতো বলে সাধারণ জনগনের ধারনা। এমপিও ভুক্তিতে অনলাইনে যে শিক্ষকদের তথ্য পাঠানো হয়েছে তারা জেলার বিভিন্ন উপজেলার জামাত নেতা এবং তাদের কে কেউ কখনো দেখেনি অত্র প্রতিষ্ঠানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানে নেই কোন হাজিরা খাতা। সভাপতি ভোলা থেকে হাজিরা ও রেজুলেসন খাতা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রথমে প্রতিষ্ঠান টি কিন্ডার গার্ডেন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হলেও, পরে তা ৮ ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চালু করে যা এখন দশম শ্রেণি পর্যন্ত চলমান। বর্তমানে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন শিক্ষার্থি রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। গত ৬/০৮/২০১৯ ইং তারিখের দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ কুমারের স্বাক্ষ্যরিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশাল এর বরাবর এক প্রতিবেদনে দেখা যায় জামায়াত নেতা সভাপতি জিয়ায়ুল মোরশেদ প্রতিষ্ঠানের ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানের জমির মূল দলিল নাম জারীর পরিশোধিত খাজনা, দাখিলা . রেজুলেশন বই শিক্ষক নিয়োগের পাইল, নোটিশ বহি , ও বিভিন্ন গুরত¦পূর্ন নতি প্রেক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বনি ইয়ামিনের যোগ সাজে নিয়ে আত্মগোপনে আছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জামাল কাজীর কাছে এসব গুরত্বপূর্ন কাগজ পত্র কিছুই নেই ।
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জামাল কাজী জানান, ১১৯৮ সাল থেকে আমি এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক মনির হোসেনকে এই প্রতিষ্ঠানে কোন দিন দেখিনি, শুধু জামাত নেতা হওয়ার কারনে ম্যানেজিং কমিটি তাকে নিয়োগ দিয়েছে। বিতর্কিত এই শিক্ষা প্রতিষ্টানটির এমপিওভুক্তিতে জনমনে নানা প্রশ্নের সঞ্চার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীদের সমন্বয়ে পরিচালিত প্রতিষ্টানটি এমপিওভুক্তিতে অনেকটাই আশ্চর্য তারা। করছে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশংকা। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
-কেজে/এফএইচ