মঙ্গলবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » নানা প্রতিকূলতায় চলছে ঢালচর কিশোর-কিশোরী ক্লাব
নানা প্রতিকূলতায় চলছে ঢালচর কিশোর-কিশোরী ক্লাব
স্টাফ রিপোর্টার: ‘ঢালচর ইউনিয়ন’ভোলা শহর থেকে সর্বদক্ষিণে যার তিন পাশে মেঘনা নদী এবং এক পাশে বঙ্গোপসাগর অবস্থান। নদী ও সাগর বেষ্টিত এই ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার লোকের বসবাস। যাদের অধিকাংশ মৎসজবী ও কৃষি পেশার সাথে জড়িত। জলবায়ু পরিবতর্নে প্রভাবে যে ইউনিয়টিতে প্রতিনিয়ন নান ধরনের দুর্যোগ লেগেই থাকে। এখানে প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার শিশু রয়েছে যাদের বয়স আঠারো বছর এর নিচে। এদের মধ্যে একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে কিশোর-কিশোরী। নানা প্রতিকূলের মধ্যে দিয়ে ঢালচরে যাদের নিয়ে ইউনিসেফ এর সহায়তায় কোস্ট ট্রাস্ট এই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ১৮ টি ক্লাবে কিশোর-কিশোরী ক্লাব পরিচালনা করে থাকে যে খানে প্রায় ৫০০ মতো সদস্য রয়েছে।
সাগর বেষ্টিত এই ইউনিয়নের কিশোর-কিশোরীর দক্ষতা বিদ্ধিতে প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূলতার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে এই ইউনিয়নের অভিভাবকরা অসচেতন হওয়য়া তাদের সন্তানদেরকে তারা কিশোর-কিশোরী ক্লাবে পাঠাতে চায় না। ফলে কিশোর- কিশোরীরা শিশু বিয়ে সহ জীবন দক্ষতা সম্পর্কে তারা তেমন কোন ধারনা পায় না। এর ফলে অনেক শিশুর স্কুলে যাভার পরিবর্তে বাড়তি লাভের আশায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে অল্প বয়সেই স্তায় শ্রম বিক্রি করে দিচ্ছে। আবার যেসব কিশোর-কিশোরীরা ক্লাবে আসে তারাও পরতে হচ্ছে নানা সমস্যরা মধ্যে।
ঢালচর ১নং ওয়ার্ডের ‘ময়নামতি’ কিশোরী ক্লাবের সদস্য-মালা, সাফিয়া, তহমিনা, নেজু সহ আরো অনেকেই জানায়, ক্লাব পরিচালনার করতে গিয়ে আমরা এখনও নির্ধারিত স্থান ঠিক করতে পারিনি। আজ এই বাড়িতে, কাল অন্য বাড়ি। আবার বসার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই। ফলে বাধ্য হয়ে বস্তা সেলাই করে বসতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়াও পর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী না থাকায় ক্লাবে এসে খেলতে পারেনা ক্লাবের সদস্যরা। রাস্তাঘাট না থাকায় ক্লাবে যেতে হলে অনেকটা পথ ঘুরে আসতে হয় আমাদের। শুধু তাই নয় অভিভাবকার মনে করে এখন ক্লাবে গেলে কিশোর-কিশোরীরা নষ্ট হয়ে যাবে। ক্লাবে আসলে কোন লাভ নেই এমন ধারনা পোষণ করে। ফলে অনেক মেধাবী কিশোর-কিশোরী ক্লাবে আসতে পারেনা। তাই অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আরো বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করার কথা জানান।
ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, ইউনিসেফর এর মাধ্যমে কোস্ট ট্রাসট র্দীঘদিন ধরে আামার ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর ফলে আমার ইউনিয়নে এখন অনেকটাই বাল্য বিয়ে কমে আসছে। পাশাপাশি জন্ম-নিবন্ধনের হার আগের থেকে বেড়েছে। পাশাপাশি অভিভাবকারা এখন তাদের সন্তানদের আগে থেকে অনেক বেশি যত্ম নিচ্ছে। এখন ছেলে-মেয়েদের নদীতে না পাঠিয়ে স্কুলে পাঠাচ্ছে। যা অনেক ভালো দিক। এটা সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে এই কিশোর-কিশোরী ক্লাব কার্যক্রম পরিচালনার কারনে। আমি আমার স্থান থেকে যথা সম্ভব এই ক্লাবের কার্যক্রম বেগবান করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো। যাতে আমার ইউনিয়নকে বাল্য বিয়ে মুক্ত ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে পারি।
কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান জানায়, আমরা ঢালচর, কুকরী-মুকরী, নতুন করে যোগ হওয়া মনপুরা উপজেলার কিশোর-কিশোরীদের জীবন মান উন্নয়নে ও তাদের ঝড়ে পরার হাত থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আশাকরি নতুন করে পরিকল্পনা গুলো বাস্তবায়ন হলে ক্লাব গুলোকে আরো সক্রিয় করে গড়ে তুলতে পারবো।
-এএইচটি/এফএইচ