

মঙ্গলবার ● ২৩ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » বিশ্ব » পাওয়া গেছে সৌদি সাংবাদিক খাসোগির দেহাবশেষ
পাওয়া গেছে সৌদি সাংবাদিক খাসোগির দেহাবশেষ
ডেস্ক: হত্যাকাণ্ডের শিকার সৌদি জামাল খাসোগির দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক স্কাই নিউজ। সংশ্লিষ্ট দু‘টি সূত্র স্কাই নিউজকে জানায়, খাসোগির দেহ ‘টুকরো টুকরো‘ করে তার চেহারা ‘বিকৃত‘ করে দেয়া হয়েছিল।
একটি সূত্র মতে, ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবনের বাগানে খাসোগির মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। সৌদি কনস্যুলেট থেকে বাসভবনের দূরত্ব ৫০০ মিটার।
আগে কয়েকটি গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, খাসোগির খণ্ডবিখণ্ড দেহ বস্তায় মুড়ে একজন স্থানীয় ব্যক্তিকে দেয়া হয়েছিল তা লুকিয়ে ফেলার জন্য।
মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার বক্তব্যে অবশ্য খাসোগির দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে কিছুই বলেননি। তিনি খাসোগির দেহ কোথায় লুকানো হয়েছে তা সৌদি সরকারকে প্রকাশ করার আহ্বান জানান।
মার্কিন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলামিস্ট জামাল খাসোগির পরিণতি সম্পর্কে গোড়া থেকেই সামঞ্জস্যহীন বক্তব্য দিয়ে আসছে সৌদি।
২ অক্টোবর খাসোগি নিখোঁজ হওয়ার পরের কয়েক সপ্তাহ ধরে সৌদি এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে বিবৃতি দেয়ার পর ১৯ অক্টোবর তারা জানায় খাসোগি কনস্যুলেটের ভেতরেই নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৮ জনকে সৌদি আরবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন এরদোয়ান।
কর্তৃপক্ষ হত্যার কথা স্বীকার করছে, কিন্তু তার দেহাবশেষ এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন?’ প্রশ্ন রাখেন এরদোয়ান।
তুরস্কের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদি আরব আরও বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য খাসোগির দেখ খণ্ডবিখণ্ড করার কথা চেপে যাচ্ছে। সৌদি আরব এখন বিভিন্ন বিবৃতিতে বলছে, খাসোগি ভুলক্রমে নিহত হয়েছেন এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্য সৌদির ছিল না। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তুরস্ক যেসব প্রমাণ সংগ্রহ করেছে সেগুলো প্রকাশ করেননি এরদোয়ান। খাসোগি হত্যাকাণ্ডের অডিও ও ভিডিও ফাইল সম্পর্কে যেসব খবর মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে এরদোয়ান তার ভাষণে কিছুই বলেননি।
এরদোয়ান জানান, হত্যাকাণ্ডের আগে তিনটি দলে ভাগ হয়ে ১৫ জন ইস্তাম্বুলে এসে পৌঁছায়।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যায় ঘাতকদের মধ্যে একজন ছিল খাসোগির মতো দেখতে। সে ওই কলামিস্টের জামাকাপড় পরে কনস্যুলেট ছেড়ে বেরিয়ে যায় এবং নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে এসব জামাকাপড় ফেলে দেয়। খাসোগিকে হত্যার আগের দিন কয়েকজন ঘাতককে কনস্যুলেটের কাছে বেলগ্রেডের জঙ্গলে যেতে দেখা যায়। তুর্কি পুলিশ গত সপ্তাহে ওই জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়েছে।
খাসোগি আসার আগে ঘাতকরা কিভাবে কনস্যুলেটের সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ সরিয়ে ফেলে তারও বিবরণ দেন এরদোয়ান। খাসোগি তার আসন্ন বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন। ‘আমার দাবি হচ্ছে এই ১৮ জনের বিচার ইস্তাম্বুলে করা হোক,’ তার ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের উদ্দেশ্যে বলেন এরদোয়ান।
একইসঙ্গে তিনি বলেন ‘এই হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা রেখেছে এমন সবাইকে শাস্তি দেয়া হবে’।
-পিডি/এফএইচ