

বৃহস্পতিবার ● ৫ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » অ্যাসিড দ্বগ্ধের ঘটনায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা
অ্যাসিড দ্বগ্ধের ঘটনায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ থানার রসুলপুর গ্রামে রবিবার রাতে শয়নকক্ষে ঘুমন্তাবস্থায় স্কুল ছাত্রী আয়শা (১৪) কে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ মামলা গ্রহণ করেছেন নারী শিশু নির্যাতন আইনে। এ্যাসিডের ঘটনায় নারী নির্যাতন মামলা হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ মামলার এজহার ভূক্ত ২ আসামীকে ১দিনে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সঠিক তথ্য পাওয়া গেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে অ্যাসিডে দ্বগ্ধ ভিক্টিম আয়শা যন্ত্রনায় চরফ্যাশন হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া অ্যাসিডে ঝলসানো মুখমন্ডল নিয়ে ভবিষ্যত দুঃস্বপ্নে আয়েশার পরিবার। তার বাবা বাবুল পন্ডিত মেয়ের চিকিৎসা ও ভবিষ্যত নিয়ে গভীর শংঙ্কায় রয়েছে। অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় নারী নির্যাতন মামলা দায়ের হওয়ায় তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তার মতে পুলিশ যা ভাল মনে করেছে তা-ই করেছেন।
রবিবার রাতে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় সোমবার রাতে ৬ জনকে আসামী করে আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শশীভূষণ থানায় মামলা হয়েছে নারী শিশু আইন/২০০৩ সনের ৪এর ২(খ)/৩০ ধারায়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে দুর্বৃত্তরা ভিক্টিমকে ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে তার অঙ্গ প্রতঙ্গ বিকৃত করনের উদ্দেশ্যে এক ধরনের বিষাক্ত তরল দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। এতে তার মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
শশীভূষণ থানার ওসি হানিফ শিকদার জানান, দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে উক্ত ভিক্টিম কিশোরীর মুখমন্ডল সহ শরীর ঝলসে গেছে। এতে উক্ত শিশু/কিশোরীর মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংখ্যা রয়েছে। ভিক্টিমকে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ প্রযোহ্য না হওয়ায় আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আলোচিত এই মামলায় ৬ জনের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অপর আসামীকে গ্রেফতারের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভিক্টিম পরিবারের অভিযোগ আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে আসামীদের বিরুদ্ধে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা না হয়ে অজ্ঞাত কারনে এই মামলা হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে। তারা মামলার ভবিষ্যত নিয়ে আশংকায় রয়েছেন। ভোলার চরফ্যাশনে এযাবৎ ২৮ টি অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মামলার দুর্বলতার কারনে অ্যাসিডের কোন মামলায় আসামীরা জামিন পেয়ে বের হয়ে গেলেও কারও জেল জরিমানা হয়নি। নাগরিক সমাজের অভিযোগ স্থানীয়ভাবে ব্যাটারী ব্যাবহার ও ব্যবসায়ীদের অ্যাসিড সংক্রান্ত মনিটরিং না থাকায় অ্যাসিড সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রনে টাক্সফোর্সকে গতিশীল প্রয়োজন।
বৃহম্পতিবার শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সিকদার বলেন, এ্যাসিডের সর্বোচ্চ সাজা হল ৭ বছর এবং তদন্তের সময় পাব ৭ দিন। আর নারী ও শিশু নির্যাতনের সাজা হল যাবৎজীবন তদন্তের সময় পাব ৬০দিন। পরীক্ষার জন্যে দেয়া হয়েছে। রিপোর্টে যা আসবে মামলা সেই দিকেই মোর নিবে।
-এমএএইচ/এফএইচ