

সোমবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দুলার হাটের খালটির একি দশা!
দুলার হাটের খালটির একি দশা!
এ,কেএম গিয়াসউদ্দিন, দুলারহাট প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানার ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বড় খালটির একি দশা হয়েছে। এক সময় ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক আমদানি রপ্তানির নির্ভরযোগ্য দুলার হাট এর এই বড় খালটির উভয় পার্শ্বে অবৈধ দখল দারদের দৌরাত্বের কারণে খাল যেন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। প্রায় দুই শত বছরের পুরনো খালের দুই পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে রেখেছে প্রভাবশালী মহল। দু’পাড় ভরাট করে যেভাবে বসত ঘর, দোকান পাট ও পাকা ভবন নির্মাণ করে দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা।
কৃষি প্রধান এ অঞ্চলে নুরাবাদ, নীলকমল, ওসমানগঞ্জ এবং দুলার হাটের একমাএ ভরসা খালটি। দুলার হাট বড় খালটি ঘোষের হাট তেঁতুলিয়া নদী হয়ে নীলকমল, নুরাবাদ, দক্ষিণ শিবা সংলগ্ন মায়ানদীর সাথে শাখা উপশাখা নিয়ে গড়ে উঠছে। এখানে অতিবৃষ্টি, বন্যা, খড়া হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ খালটির উপর নির্ভর করতে হয়। এ খালের ওপর দিয়ে একসময়ে বয়ে যেতো মালবাহী পালতোলা নৌকা, ট্রলার, স্টিমার যেগুলো সোনার চর, ঢালচর, লক্ষ্মীচর, পাতিলাচর, পাঙ্গাসিয়া, কোড়ালিয়া, কুকরী মুকরী, রাঙ্গাবালি, চরমমতাজ, চরমোহর, চরকাজল, চরবিশ্বাস ইত্যাদি হইতে সুটকী, ধান, চাউল, গম, নারিকেল, সুপারি, কাচা তরকারী আমদানি, রপ্তানি করা হতো।
দুলার হাট বাজারের বিশিষ্ট্ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব হানিফ কন্টেকদার, আা: খালেক রতন, মফিজ সাথে আলাপ কালে তারা প্রত্যেক বছরে কৃষি, মৎস্য, ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫শ কোটি টাকার অপুরণীয় ক্ষতি দাবি করেছেন। পাশাপাশি পানিতে জোয়ার ভাটা না থাকার কারণে মাছ চাষীদের, কৃষকের কৃষি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে তারা জানান ।
তারা আরো বলেন, প্রত্যক বর্ষা মৌসুমে এ খালে মাছ ধরার মহোৎসব ছিল চোখে পড়ার মতে। জেলেদের একমাএ আয়ের উৎস ছিল এ খালের শাখা, উপশাখা। বড় খালটির সাথে মিশে ছিলো উপশাখা গুলো কিন্তু ভূমি দস্যুদের দ্বারা এখন নিমজ্জিত হয়ে বড় খালটি ড্রেনে পরিণত হয়েছে। এখন বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টির ফলে এবং সামান্য বৃষ্টিতেই তরমুজ, আলু, বাদাম, মরিচ, ডাল চাষিদের যে অপুরণীয় ক্ষতি তা মেনে নিতে না পেরে নিজের জীবন বলি দিতে হলো ৭নং চরযমুনা ওয়ার্ডের জহরলাল এর মতো হত দরিদ্র কৃষকের। নুরাবাদে হত দরিদ্রতার দাবানলে নিজের জীবন বলি দিতে চেয়েছিল অনেক কৃষক। পরিবেশ বিধরা মনে করেন এ খালটি মুক্ত করা না হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্য পরিবেশ হুমকির মুখে দাড়াবে। এমতাবস্তায় নুরাবাদ, নীলকমল, ওসমানঞ্জ, দুলার হাট কৃষক, শ্রমিক, মৎস্যজীবী সহ এলাকাবাসীর দাবি দুলার হাটের বড় খালের রক্ষা করে অবৈধ দখল দার থেকে মুক্ত করা এবং স্লোগানে ঘোষের হাট -বাংলাবাজার সুলিজকে উন্মুক্ত করে পূর্বের খালের রুপান্তরের জন্য দাবি করেন।
-এফএইচ