মঙ্গলবার ● ৯ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » আসামী রেখে স্বাক্ষীকে হাজতে, ওসিকে তলব
আসামী রেখে স্বাক্ষীকে হাজতে, ওসিকে তলব
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: শশীভূষণে আসামী রেখে স্বাক্ষী আবুল কাশেমকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। প্রায় ৩ দিন হাজতে থাকার পর মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ওই স্বাক্ষী। মঙ্গলবার আদালতে শুনানী শেষে চরফ্যাশন সিনিয়র জডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক শিবলী নোমন খাঁন তাকে মুক্তি দিয়েছেন। আবুল কাশেম চরকলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মঙ্গল গ্রামের আলী আহাম্মদ’র ছেলে। আদালত সুত্র সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
বাদী লোকমান হোসেন জানান, ২০১৫ সনে তিনি শশীভূষণ থানায় সিআর ৩২৪/১৫ ধানকাটার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা আদালতে চলমান আছে। রবিবার সকালে শশীভূষণ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসন ওই মামলার ৩নং স্বাক্ষী আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে থানায় নেন।
পরে তিনি এবং চরকলমী ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম থানায় গিয়ে আবুল কাশেমকে মামলার স্বাক্ষী বলে জানালেও শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) তা শোনেন নি। তারা তাকে রবিবার আসামী হিসেবে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
আবুল কাশেমের শশুড় কদম আলী জানান, জেল হাজতে পাঠানোর পর তারা বিষয়টি আদালতকে অবগত করলে বিজ্ঞ আদালত মঙ্গলবার ভোলা জেল হাজত থেকে আবুল কাশেমকে চরফ্যাশন আদালতে এনে শুনানী শেষে মুক্তি দিয়েছেন। এজন্য তারা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারি জানান, শশীভূষণ থানার ওসি হানিফ সিকদার এবং এসআইকে তলবের পর বিজ্ঞ আদালত বাদী, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য, ওসি ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)’র জবান বন্দি শুনে স্বাক্ষী আবুল কাশেমকে অব্যাহতি দিয়েছেন তবে পুলিশের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা পরে জানা যাবে ।
আইনজীবি আশরাফ আলী নিরব জানান, মামলার আসামীকে এবং স্বাক্ষী কে? তা নিশ্চিত হয়ে আদালতে পাঠানো প্রয়োজন ছিল। স্বাক্ষীকে হাজতে পাঠিয়ে মানবাধিকার লঙন করা হয়েছে। জনৈক আইন বিষেজ্ঞ জানান, শশীভূষণ থানার ওসি প্রভাবিত হয়ে এমন কাজ করা ঠিক হয়নি। মামলার স্বাক্ষী আবুল কাশেমের জীবনের দু’দিন অন্ধকার থেকে ফিরত দিয়া আর সম্ভাব হবেনা।
শশীভূষণ থানার ওসি হানিফ সিকদার জানান, মামলায় আসামী এবং স্বাক্ষীর নামের মিল থাকায় এমনটি হয়েছে।
-এমএএম/এফএইচ