রবিবার ● ১৯ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » খেলা » ভোলার মাঠ কাঁপানো ক্রীড়াবিদ জাহাঙ্গীরের খোঁজ রাখছে না কেউ
ভোলার মাঠ কাঁপানো ক্রীড়াবিদ জাহাঙ্গীরের খোঁজ রাখছে না কেউ
মোকাম্মেল হক মিলন: ভোলার মাঠে ময়দানে খেলা ধুলার সাথে জড়িয়ে প্রচুর সুনাম ছড়িয়ে যাচ্ছে ক্রিড়াবিদ মো.জাহাঙ্গীর। ছোট বেলা থেকে সখের বসে হাডুডু, কাবাডি, ফুটবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল সহ বিভিন্ন খেলা ধুলার জড়িত থাকার পাশাপাশি পাস করা রেফারীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জাহাঙ্গীরের সমাজ সংসারে বৃদ্বামাতা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের নিয়ে সংসার পরিচালানা করতে গিয়ে আর্থিক সংকটে পড়ে আছে। ইতি মধ্যে জাহাঙ্গীর জেলা শহর সহ ভোলার ৭ টি উপজেলায় ফুটবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল, খেলা সহ রেফারীর দায়িত্ব পালন করে সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি নলিনী দাস বালিকা বিদ্যালয়, চরনোয়াবাদ মহিলা মাদ্রাসা, উদয়ন শিশু কানন কিন্ডার গার্ডেন সহ বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার ক্রিড়া প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন। জাহাঙ্গীর আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হওয়া বৃদ্ব মাতা সহ পরিবার পরিজন নিয়ে আর্থিক সংকটে আছেন। ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া চালাতে অক্ষম। জাহাঙ্গীর সংসারে আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করতে জেলা প্রশাসক, জাতীয় ক্রিড়া পরিষদ ঢাকা, জেলা ক্রিড়া সংস্থা ভোলা সহ বিত্তবানদের কাছে সহযোগীতা কামনা করছেন। ক্রিড়াবিদ জাহাঙ্গীর এর মত প্রতিভাবান খেলোয়াড় যাতে জড়ে না পড়ে সে জন্য পৃষ্টপোষক ও আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া প্রয়োজন। জাহাঙ্গীর আক্ষেপ করে বলছেন সখের বসে এ পেশা এসে অভাবের মধ্যে রয়েছি। অনেক খেলোয়াড় তৈরী করছি কিন্তু বিনিময়ে সুনাম ছাড়া কিছুই পাচ্ছিনা। ইতিপূর্বে জাতিয় ক্রিড়া পরিষদ থেকে অসচ্ছল খেলোয়াড় হিসাবে সামান্য অনুদান পেতাম তা ও গত বছর থেকে বদ্ধ রয়েছে। এ অনুদান পেলে ও কিছুটা ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার বার্ষিক ব্যয় নির্বাহ করা যেত। জাহাঙ্গীর বলেন, পৃষ্ট পোষকতার অভাবে অনেক খেলোয়াড় তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে না। সে জন্য তিনি প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় ছেলে মেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন খেলাদূলার প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালুর দাবি জানান। পাশাপাশি জেলা ক্রিড়া অফিস ও ক্রিড়া সংস্থার মাধ্যেমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুরোদ করেছেন। সম্মপ্রতি আইজি কাপ যুব কাবাডি প্রতিযোগীতা ভোল সরকারী স্কুলের মাঠে অনুষ্টিত হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সমাজে সুন্দর সুস্থ্য পরিবেশ বিরাজ করবে। জাহাঙ্গীর বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজ্জম্মকে সুস্থ্য ও প্রতিভা বিকাশের স্বার্থে খেলালাধুলার প্রতি আগ্রহশীল করে তুলতে হবে। ক্রিড়ার প্রতি ঝোক সৃষ্টি করতে পারলে মাদক মুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
-এফএইচ