বৃহস্পতিবার ● ২৪ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনের মজিবনগরে দু’ই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, তোলপাড়, চাপা দিতে মরিয়া প্রভাবশালীরা
চরফ্যাশনের মজিবনগরে দু’ই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, তোলপাড়, চাপা দিতে মরিয়া প্রভাবশালীরা
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে দ্বিতীয় শ্রেণীর দু’ই স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন রেড ক্রিসেন্ট ওয়ারলেসম্যান কবির হোসেনের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ আইচা থানার বিচ্ছিন্ন মজিবনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। অভিযুক্ত কবির একই এলাকার মৃত আ. রশিদের ছেলে , স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য, আ’লীগ সভাপতি মাসুদের ভাই ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নিরবের বাবা।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বিচ্ছিন্ন মজিবনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চরমোতাহার কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন না থাকার কারণে পাশ্ববর্তী রেড ক্রিসেন্ট সেল্টারে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। এই সুযোগে ইউনিয়ন রেড ক্রিসেন্ট ওয়ারলেসম্যান কবির বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নানা ভাবে যৌন নিপিড়ন করছেন।
ওই বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ২য় শ্রেণীর এক ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, রেড ক্রিসেন্ট সেল্টারে ওয়ারলেসম্যান কবির বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের তার রুমে নিয়ে গায়ের ঘামাছি খোটাতো, চুল টানাতো ও শরীল টিপাতো। কত কয়েক দিন আগে তার মেয়ে (৮) কে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে তার রুমে দিনে উলঙ্গ করে বিভিন্ন ভাবে তার শরীলের বিভিন্ন অঙ্গ স্পর্শ করে নানা ভাবে যৌন নিপীড়ন করেন কবির। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তার মেয়েকে চাপ প্রয়োগ করে। গত ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরের দিকে তার মেয়ে (৮) ও তার আরেক সহপাঠী (৭) সহ স্কুল থেকে বাড়ি আসার পথে কবির পাশ্ববর্তী একটি ঘরে নিয়ে পুনরায় জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার করে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে ছেড়ে দেয় কবির। পরে তারা বিষয়টি বাড়িতে এসে আমাদের বলেন। বিষয়টি আমরা ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও মহিলা মেম্বারকে জানাই।
ভুক্তভোগী অপর ছাত্রী (৭) এর দাদি জানান, আমরা গরিব মানুষ, এই দেশে আমাদের বিচার করার কেউ নাই। এই বিষয়টি এলাকায় জানা যানি হলে কবিরের ভাই মাসুদ মেম্বার আমাদের চাপ প্রয়োগ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে ভুক্তভোগী ওই দুই স্কুল ছাত্রীকে তাদের বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় মাসুদ মেম্বার।
স্থানীয় ২ নং ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আফসুরা বেগম নিশ্চিত করে বলেন, ওই দুই ছাত্রীর কাছ থেকে আমরা বিষয়টি জেনেছি। এসকল ছোট ছোট মেয়ের সাথে এমন আচারণ খুব নিন্দনীয়। এমন ঘটনার কারণে আমাদের মেয়ের স্কুলে পাঠাতে আমারা এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম আনসারী বলেন, আসলে ঘটনাটি খুব দুঃখ জনক। ওই দুই ছাত্রীর কাছ থেকে বিয়ষটি জেনেছি। স্থানীয় মেম্বার মাসুদকে জানালে তিনি ফয়সালা করবেন এবং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবারি না করার জন্য বলেন।
এদিকে অভিযুক্ত কবির ও তার ভাই মাসুদ মেম্বারের ব্যহৃীত মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও কল রিসিভড না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান ওদুদ মিয়া বলেন, বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। এখনো পরিবারের কেউ কিছু যানা ইনি।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি হানিফ সিদকার বলেন, খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযুক্ত কবিরের শাস্তি দাবি করেছে।
-এফএইচ