শিরোনাম:
●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী
ভোলা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভোলার সংবাদ
মঙ্গলবার ● ২৫ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » বিপাকে দুই লাখ শিক্ষার্থী সমস্যার সমাধান করুন
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » বিপাকে দুই লাখ শিক্ষার্থী সমস্যার সমাধান করুন
৬০০ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৫ জুলাই ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিপাকে দুই লাখ শিক্ষার্থী সমস্যার সমাধান করুন

 ---

সম্পাদকীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নির্দেশের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের ২১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৮৪টি কলেজকে ভাগ করে দেওয়ার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ১৭৭টি কলেজ বাদ রেখে রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেওয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েছে এসব কলেজের প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী। প্রায় ছয় মাস ধরে এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা, রেজিস্ট্রেশন, ফরম পূরণ ও ভর্তিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও একসঙ্গে বসে সমস্যা নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। শুরু হয়ে যাবে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তিযুদ্ধ। দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের প্রথম পছন্দ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার খরচ বেসরকারি যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক কম। এখানে আবাসন সুবিধাও আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানদের লেখাপড়া করানোর মতো আর্থিক সংগতি অনেক অভিভাবকের নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হতে পারবে না ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ যাদের নেই, তারা বাধ্য হয়েই যাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে ফারাক আছে। আছে সেশনজটও। সে ক্ষেত্রে সরকারি কলেজগুলোর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির পাঠক্রম ও শিক্ষাবর্ষ যদি সংশ্লিষ্ট এলাকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শুরু হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরাই লাভবান হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেহেতু এইচএসসি পাস সব শিক্ষার্থীকে ধারণ করতে পারে না, সেহেতু এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানানো যায়। তার জন্য একটি সমন্বয় প্রয়োজন হবে। এতদিন যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লেখাপড়া করেছে, তাদের কিভাবে সংশ্লিষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হবে, তার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন। যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। কিন্তু এসব না করেই ১৭৭টি কলেজকে বাদ রেখে শুধু রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে দুই লাখ শিক্ষার্থী। অনিশ্চয়তায় পড়া এসব শিক্ষার্থী সম্প্রতি রাজধানীতে বিক্ষোভও করেছে। অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ দূর করা কঠিন কোনো কাজ নয়। শুধু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছাই পারে অনিশ্চয়তা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো দূরত্ব থাকলে তা ঘোচানো কঠিন কাজ নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতাই সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।