শনিবার ● ১৭ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ
ভোলায় মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলায় এক মুক্তিযোদ্ধার জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রভাবশালী মহল এ দখলের পায়তার করছে বলে অভিযোগ করেন সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিক।
শনিবার ভোলা প্রেসক্লাবে এক লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিদ্দিক বলেন, সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর পাঙ্গাশিয়া মৌজার বাঘারহাট বাজারস্থ এস,এ ২৬০/২৬৩ খতিয়ানের রেজিঃ ৫৮৩/৫৮৪ নম্বর দলিলে ১২৪ শতাংশ জমি খরিদ করে ভোগ দখলে থেকে বিগত দিনে ১১টি রেজিঃ দলিলে ১৮ শতাংশ বাজারের দোকান ভিটা জমি বিক্রি করি। অবশিষ্ট জমিতে পুুকুর, ডোবা ও দোকান ঘর ভাড়া দিয়ে ভোগ দখলে আছি। উক্ত জমি পাঙ্গাশিয়া বাঘারহাট বাজারের অংশ বিশেষ ও পাকা রাস্তার পাশের অত্যন্ত মূল্যবান এবং আমার বাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় বিগত দিনে প্রভাবশালী মহল দখলের চেষ্টা করলে আইনের সাহায্যে প্রতিরোধ করি।
তিনি আরো বলেন, বিগত বি,এস জরিপে আমাদের নামে ১০১৪ নম্বর খতিয়ানে বিক্রি বাদ ৮৩ শতাংশ জমি রেকর্ড হয়ে অবশিষ্ট ২২ শতাংশ পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহাম্মেদের বড় ভাই নাছির আহাম্মদসহ কতিপয় ভূমিলোভী প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রতারণা করে অবৈধভাবে রেকর্ড করলে আমি ২২ শতাংশ জমির দাবি ও অবৈধ রেকর্ড বাতিলের জন্য ভোলা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল হওয়া মাত্র সম্পূর্ণ নিঃস্বত্ত্ববান নাছির আহাম্মদসহ অন্যদের বিবাদি করে মামলা করি। মামলায় বিবাদিরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে অবৈধ রেকর্ডে উৎসাহিত হয়ে দখলের চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। এবং পশ্চিম ইলিশার ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ ও সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই মোঃ নাছির আহাম্মদ আমার দোকানের ভিটা দখলের পায়তারা করলে তালাশ অনুসন্ধানে জানতে পারি মামলা চলমান অবস্থায় মোঃ নাছির আহাম্মদ এর নামিয় অবৈধ বি,এস ৭৫৪ খতিয়ানের ৩৫৯১ দাগের আমার ভিটা ভূমি ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহাম্মদের স্ত্রী নাজমা বেগমের নিকট উক্ত ৭৫৪খতিয়ান জাল করে ভূমির পরিমান বৃদ্ধি, ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন ও বহায় মূল্য কম দিয়ে গত বছরের ২০ জুলাই রেজিঃ ৪২৯২/২০১৬ নম্বর দলিলে বিক্রি করে। তাৎক্ষনিক নাজা বেগমকে উক্ত মামলায় বিবাদিভূক্ত করলে আদালত দাতা-গ্রহীতাকে শোকজের আদেশ দিলে জবাব না দিয়ে দলিল বলে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ দখলের ও পাকা স্থাপনা তৈরীর জন্য উক্ত স্থানে বালু ও পাথর কনা মজুদ করে পেশি শক্তির বলে ঘর তৈরীর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা নাসির। এতে বাধা দিলে খুন-জখমের আশঙ্কায় গত ২২ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে একটি আবেদন করেন।
এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় ১৭ জুন একটি জিডি করা হয়। যার নম্বর-৬১২। প্রভাবশালী মহলটি তাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পশ্চিম ইলিশা ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
-এসসি/এফএইচ