সোমবার ● ১৫ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » শ্রেণী শিক্ষকের কাছ থেকে সাংবাদিকতার প্রেরণা পেয়েছি - দৌলতখানের প্রথম সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন নাজু
শ্রেণী শিক্ষকের কাছ থেকে সাংবাদিকতার প্রেরণা পেয়েছি - দৌলতখানের প্রথম সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন নাজু
সাংবাদিকতার প্রেরণা শ্রেণী শিক্ষকের কাছ থেকে? হ্যা এমনি অনুপ্রেরণা পেয়ে সেই শিক্ষা জীবন থেকে সাংবাদিকতার মত মহৎ পেশায় আত্বনিয়োগ করেন দৌলতখান উপজেলার প্রথম সাংবাদিক মো. নাজিম উদ্দিন নাজু। তিনি দৌলতখানের প্রথম সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন দৌলতখান প্রেস ক্লাবও এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দৌলতখান প্রেস ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেন মো. নাজিম উদ্দিন নাজু। ভোলার ৭টি উপজেলার প্রথম সাংবাদিক, সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাব সমূহের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সম্পাদকের সাক্ষাতকার প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে ভোলার সংবাদ ডট কম। এরই মধ্যে ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন এবং মনপুরা উপজেলার প্রথম সাংবাদিকদের সাক্ষাতকার প্রকাশ করা হলেও দৌলতখান উপজেলার প্রথম সাংবাদিক মো. নাজিম উদ্দিন নাজু জাপান প্রবাসী হওয়ায় দীর্ঘ দুই মাস খোঁজ খবর নিয়ে সম্প্রতি তার সাথে যুক্ত হতে পেরেছে ভোলার সংবাদ ডট কম। টেলিফোনে যুক্ত হয়ে ভোলার সংবাদ ডট কমকে জানিয়েছেন তার সাংবাদিকতা জীবনের ইতিবৃত্ত। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন ভোলার সংবাদ ডট কম এর প্রধান সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রিয়াজ সহযোগীতায় ছিলেন ভোলার সংবাদ ডট কম এর সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন, দৌলতখান প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুল মাওলা ফারুক।
ভোলার সংবাদ : ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা সদরের ৩নং ওয়ার্ডে জন্ম গ্রহণ করেন দৌলতখানের প্রথম কলম সৈনিক (সাংবাদিক) মো. নাজিম উদ্দিন নাজু। দৌলতখানের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এই সাংবাদিকের জন্ম ১৯৫৯ সালের ১১ ডিসেম্বর। বাবা মৃত মো. সামছুল হক এবং মাতা মোসাম্মৎ দৌলতুন নেছা। ৫ ভাই ৪ বোনের মধ্যে সবার বড় মো. নাজিম উদ্দিন নাজু। তার ছোট ভাই মো. জসিম উদ্দিন পেশায় ব্যবসায়ী, ব্যারিস্টার মো. জহির উদ্দিন আইন পেশায় আছেন, মো. তসলিম উদ্দিন দৌলতখানে ব্যবসা করছেন এবং সবার ছোট ভাই মো. হাসনাত উদ্দিন বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় সাংবাদিকতা পেশায় মনোনীবেশ করেছেন। তার শৈশব কেটেছে দৌলতখানেই। ৫ বছর বয়সে ভর্তি হন ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। তাই তার কর্মস্থল ছিল ভোলার বাইরে। প্রাথমিকের গন্ডি না পেড়োতেই বাবার কর্মস্থল সিলেটের শ্রীমঙ্গলে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে ৩য় শ্রেণীতে ভর্তি হন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শেষ করে পরিবারসহ ফিরে আসেন দৌলতখানে। ১৯৭৫ সালে দৌলতখান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন মো. নাজিম উদ্দিন নাজু। এরপর ভর্তি হন বোরহানউদ্দিনের আব্দুল জব্বার কলেজে। সেখান থেকে এইচএসসি পাশ করেন ১৯৮১ সালে। তারপর উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যান কৈশর কাটানো চির চেনা সিলেটে। সিলেট এমসি কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে বিএ পাশ করেন। এরপর নাড়ীর টানে ফিরে আসেন দৌলতখানে। পা দেন কর্মজীবনে। শুরু করেন সাংবাদিকতা। ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখির প্রতি জোক ছিল তার। কিন্তু কখনো ভাবেননি দৌলতখান উপজেলার প্রথম সাংবাদিক হবেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। বর্তমানে তিনি জাপান প্রবাসী। তার এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে জাপানেই বসবাস করছেন। নিন্মে তার সাক্ষাতকারটি তুলে ধরা হলো-
ভোলার সংবাদ :
কেমন আছেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
ভোলার সংবাদ :
আমরা জানি আপনি দৌলতখান উপজেলায় প্রথম সাংবাদিকতা শুরু করেছেন। আপনার সাংবাদিকতার শুরু কিভাবে?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
লেখালেখির প্রতি আগ্রহ ছোট বেলা থেকেই ছিল আমার। বাবার চাকরির সুবাদে আমরা পরিবার সহ সিলেটের শ্রীমঙ্গলে থাকতাম। শ্রীমঙ্গলে ১৭টা চা বাগানের হেড কোয়াটার ছিল। সে চা বাগানগুলোতে কর্মরত ও স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদের সন্তানরা পড়াশুনা করত ভিক্টোরিয়া স্কুলে। আমিও সে স্কুলে ভর্তি হই। পড়াশুনা করতে থাকি। কঁচিকাঁচার আসড় নামে একটি সংঘঠন ছিলো শ্রীমঙ্গলে। ১৯৬৯ সালের মাঝামাঝি সময়ের কথা। ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক কিশোর বাংলা পত্রিকা ডাক যোগে আসত কঁচিকাঁচার আসড় সংঘঠনের কার্য্যালয়ে। কঁচিকাঁচার আসড় সংঘঠনটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করত। আমার শ্রেণী শিক্ষক শ্রদ্ধেয় গোপাল চৌধুরী দৈনিক ইত্তেফাকের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ পাঠাতেন। লেখালেখির প্রতি আমার আগ্রহ দেখে তিনি আমাকে সংবাদ সংগ্রহ, রিপোর্ট তৈরীর সময় আমাকে সাথে রাখতেন। একদিন কঁচিকাঁচার আসড় সংঘঠনটি এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আমার সাংবাদিকতার গুরু আমার প্রিয় শিক্ষক গোপাল চৌধুরী আমাকে বললেন এই অনুষ্ঠানের উপরে একটা রিপোর্ট লিখে কিশোর পত্রিকায় পাঠিয়ে দাও। তিনি আমাকে রিপোর্টটি লিখতে সাহায্য করলেন। আমি রিপোর্ট লিখে ডাক যোগে পত্রিকা অফিসে পাঠিয়ে দেই। পরের মাসে যখন পত্রিকা ডাক যোগে শ্রীমঙ্গল এসে পৌঁছাল তখন আমার বাই নেমে লেখা ছাপানো দেখে আনন্দে আত্বহারা হয়ে গেলাম। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম প্রিয় শিক্ষক ও সাংবাদিকতার অনুপ্রেরক শিক্ষক গোপাল চৌধুরীরর প্রতি। এভাবেই আমার সাংবাদিকতার শুরু।
ভোলার সংবাদ :
কোন কোন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
সিলেটে পড়াশুনা অবস্থায় সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক যুগবাণী পত্রিকায় কাজ করেছি। এরপর দৌলতখানে ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করি। তখন ভোলা থেকে প্রকাশিত ভোলা বাণী পত্রিকাটি নিয়মিত পড়তাম। একদিন ভোলা এসে সম্পাদক আবু সুফিয়ান বাহার ভাই এর সাথে তার অফিসে দেখা করলাম এবং দৌলতখান থেকে সাংবাদ পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করলাম। তিনি সানন্দে আমাকে কাজ করার জন্য অনুমতি দিলেন। এরপর ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় দৌলতখান প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ভোলায় সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যা অনুপ্রেরণা ও সহযোগীতা পেয়েছি তার কথা না বললেই নয় তিনি আমার শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ আফসার উদ্দিন বাবুল। তিনি আমাকে রিপোর্ট লেখা সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়ে ধারণা দেন এবং মফস্বল সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণা দেন। কিছুদিন সাংবাদিকতা করার পর ট্যুরিস্ট ভিসায় জাপান চলে আসি। বর্তমানে সেখানেই আছি। এখন যাপান থেকে প্রকাশিত মাসিক মানচিত্র ও স্থানীয় জাপানী পত্রিকায় লেখালেখি করি।
ভোলার সংবাদ :
আপনার কর্মজীবনের শুরু কিভাবে?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
বিএ পাশ করে কর্মজীবনে পা দেই। দৌলতখানে নিস্কৃতি মেডিকেল হল নামে একটি ফার্মেসীর ব্যবসা শুরু করি। পাশাপাশি ঠিকাদারী ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিলাম। এরপর জাপানে চলে যাই। এখন একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি।
ভোলার সংবাদ :
৭০ এর বন্যায় কি দেখলেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
তখন আমি ছোট ছিলাম। তবে বন্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছিলাম। আর এই বণ্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দৌলতখানের নদী পাড়ের মানুষ। যার ভয়াবহতা আজও মনে পড়লে শিউরে উঠি।
ভোলার সংবাদ :
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে কি দেখেছেন আপনি?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। আমার এখনো মনে আছে আমি বাঁশ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং করেছি। ছাত্রাবস্থায় আমি স্কাউট করতাম। তাই আমার কিছু ট্রেনিং আগেই জানা ছিল। বয়স কম থাকার কারণে বাবা মা সম্মূখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে দেননি।
ভোলার সংবাদ :
সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোন অভিজ্ঞতা মনে আছে কি?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
হ্যা আছে। আমার লেখা সংবাদে একবার তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। তখন এরশাদের শাসনামল চলছে। এসএসসি পরীক্ষার সময় সারা বাংলাদেশে শিক্ষকরা বিভিন্ন দাবীতে পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই আন্দোলনের আচ লাগে দৌলতখানেও। শিক্ষকরা তাদের দাবী আদায়ের জন্য পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন এবং বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাদের সাথে সাধারণ জনগণও একাতœতা প্রকাশ করেন। কিন্তু দৌলতখানের থানা নির্বাহী অফিসার শিক্ষকদের আন্দোলনে বাঁধা দেন। তিনি পুলিশ দিয়ে শিক্ষকদের ছত্র ভঙ্গ করে দেন। শিক্ষরা আন্দোলন করতে গিয়ে ভাঙচুর করতে থাকে। একপর্যায়ে তৎকালীন টিএনও শংকর বাবু পুলিশকে গুলি করতে বলেন। সেদিনের সংঘর্ষে অনেক শিক্ষক আহত হয়। সে সংবাদ সংগ্রহ করে স্থানীয় পত্রিকা ও জাতীয় দৈনিকে ছাপা হলে টিএনওর বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল তদন্ত হয় এবং তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়।
ভোলার সংবাদ :
আপনি কিভাবে দৌলতখান প্রেসক্লাবের সাথে যুক্ত হয়েছেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
প্রেসক্লাব গঠন নিয়ে আমার একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। আমি দৌলতখানে এসে লেখালেখি শুরু করার পর যখন দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় দৌলতখান প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পাই তখন ভোলা প্রেস ক্লাবের সাথে যোগাযোগ করি সদস্য হওয়ার জন্য। কিন্তু ভোলা প্রেস ক্লাব থেকে আমাকে জানিয়ে দেয়া হয় ভোলা সদরের নিয়োগ পত্র না থাকলে ভোলা প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্য হওয়া যাবে না। তাই উপায় অন্তু না পেয়ে প্রেস ক্লাবকে উপজেলা পর্যায়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করি।
ভোলার সংবাদ :
দৌলতখান প্রেস ক্লাব কত সালে গঠন করলেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
১৯৮৫ সালে দৌলতখান প্রেসক্লাব গঠিত হয়। দৌলতখান বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিস্কৃতি মেডিকেল হল ছিল অস্থায়ী কার্য্যালয়।
ভোলার সংবাদ :
দৌলতখান প্রেস ক্লাবের প্রথম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে ছিলেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
আমি ছিলাম প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রহিম বক্স ছালাফত জ্যাং চৌধুরী।
ভোলার সংবাদ :
দৌলতখান প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা কত ছিল?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
মাত্র ৭ জন সদস্য নিয়ে দৌলতখান প্রেস ক্লাব গঠিত হয়।
ভোলার সংবাদ :
সাংবাদিকতা করে কি পেলেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
সাংবাদিকতা করে যা পেয়েছি তার চাইতে বেশী পেয়েছি দৌলতখানে প্রথম প্রেস ক্লাব গঠন করে। আমিই প্রথম প্রেস ক্লাব গঠনের উদ্যোগ নেই। আপনাদের সাথে কথা বলে এখন মনে হচ্ছে একাধারে আমি যুগ্ম ভাবে প্রথম। একদিকে দৌলতখানের প্রথম সাংবাদিক অন্যদিকে দৌলতখান প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আমি একদিন এই পৃথিবীতে থাকব না কিন্তু আমার নাম আপনাদের মাধ্যমে মানুষের মনে রয়ে যাবে। এটাই আমার সবচাইতে বড় পাওয়া।
ভোলার সংবাদ :
সাংবাদিকতা করে কোন সম্মাননা পেয়েছেন কি?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
হ্যা পেয়েছি। সিলেট এমসি কলেজে পড়া কালীন একুশে ফেব্রুয়ারীতে মাতৃভাষা রক্ষায় সাংবাদিকদের দায়িত্ব বিষয়ের উপর রিপোর্ট লিখে প্রথম স্থান অধিকার করি এবং পুরস্কারে ভূষিত হই।
ভোলার সংবাদ :
অবসরে কি করেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
অবসরে পাই না বললেই চলে। তারপরেও যেটুকু পাই প্রবাসে বসে ফিচার লেখি। বই অথবা পত্রিকা পড়ি।
ভোলার সংবাদ :
দেশে কয় বার এসেছেন? স্থায়ী ভাবে কি দেশে ফিরবেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
সূর্যের দেশ জাপান। বাংলাদেশ থেকে জাপানের দূরত্ব অনেক। বললেই আসতে পারি না। চার বার দেশে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। যেহেতু জাপানে বিয়ে করেছি, আমার সন্তান আছে সেহেতু স্থায়ী ভাবে দেশে ফিরব কিনা বলতে পারছি না। তবে দেশে মা, ভাই, বোনসহ অসংখ্য আত্বীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, সহপাঠী আছে তাদের কথা সবসময় মনে পড়ে। তাদের খুব মিস করি।
ভোলার সংবাদ :
নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরা কেমন করছে?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরা তো খুব ভালো করছে। তাদের কাজের ধরন ভিন্ন এবং আধুনিক। আমাদের সময় এত সুযোগ সুবিধা ছিল না। তারা সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবে এটাই চাওয়া।
ভোলার সংবাদ :
বর্তমান যুগে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে আপনি কি ভাবছেন?
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
অনলাইন গণমাধ্যম তথ্য প্রযুক্তির এক অনন্য আবিষ্কার। কখনো ভাবিনি দুনিয়া হাতের মুঠোয় পাওয়া যাবে। এখন জাপানে বসে ভোলার সংবাদ ডট কমের মাধ্যমে ভোলার সর্বশেষ সংবাদ জানতে পারছি সুদূর জাপানে বসে। আমি ভোলার সংবাদ ডট কমের সাফল্য কামনা করি।
ভোলার সংবাদ :
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মো. নাজিম উদ্দিন নাজু :
আপনাকেও ধন্যবাদ।