

বৃহস্পতিবার ● ৩০ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ল
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ল
ডেস্ক: চলতি বছর হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের সময় ১১ দিন বাড়ল। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবারই নিবন্ধনের শেষ দিন। তবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিবন্ধনের সময় ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। বুধবার সরকারি ও বেসরকারি হজ যাত্রীদের নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্যে সার্ভার উন্মুক্ত থাকবে।
তবে প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ এনে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজযাত্রী নিবন্ধন না করার ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ ঘোষণা দেয়।
চলতি বছর হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৮ মার্চ। বেসরকারি প্রাক-নিবন্ধনের সিরিয়াল ২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ পর্যন্ত চলতি বছরের নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি এজেন্সির ৮ হাজার ৪৬৬ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৫৩০ জন নিবন্ধনের জন্য ডাটা এন্ট্রি করেছেন।
চলতি বছর সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৩০ জানুয়ারি ‘হজ প্যাকেজ, ১৪৩৮ হিজরি/২০১৭ খ্রিস্টাব্দ’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা। এবার সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ এবং প্যাকেজ-২ এ ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা খরচ করতে হবে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় গমনেচ্ছু হজ যাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন শুরু হয়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুদের প্রাক-নিবন্ধন শুরু হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। এবার বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন।
নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি তাদের ব্যাংক হিসাবে নিবন্ধন ভাউচারের মধ্যমে প্রতি হজযাত্রীর জন্যে বিমান ভাড়া বাবদ এক লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ টাকা জমা দিতে হবে। হজ এজেন্সি টিকেটের টাকা অন্য কোন কাজে উত্তোলন করতে পারবে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নিবন্ধন কার্যক্রমে নির্বাচিত ব্যাংকগুলো সরকার নির্ধারিত অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত করে হজ যাত্রীদের নিবন্ধন সম্পন্ন করছে। যারা নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হবেন তাদের ক্ষেত্রে কোটা পূরণের জন্য জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুসরণ করা হবে। সরকারি নির্ধারিত সিরিয়ালের বাইরে কারো কাছ থেকে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করা যাবে না।
সিরিয়ালের সীমাবদ্ধতার (২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ পর্যন্ত) কারণে সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো হজ এজেন্সির নূন্যতম ১৫০ জনের হজযাত্রীর কোটা পূরণ না হয় তবে তারা হজ নীতি অনুযায়ী লিড এজেন্সি নির্ধারণ করবে। স্থানান্তরিত হজ যাত্রীদের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব লিড এজেন্সি গ্রহণ করে নিবন্ধন করবে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজ যাত্রীদের নির্বাচিত প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের হজ প্যাকেজ-১ এর সরকারি হজ যাত্রীদের ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৮ টাকা এবং হজ প্যাকেজ-২ এর হজ যাত্রীদের ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা জমা দিতে হবে।