ভোলায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার:  তথ্য পেলে মুক্তি মেলে, সোনার বাংলার স্বপ্ন ফলে’ এই মুল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যথাযেযাগ্য মর্যাদায় ভোলায় আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস ২০১৬ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, কোস্ট ট্রাস্ট ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় র‌্যালী, আলোচনা সভার আায়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে একটি র‌্যালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে শহরের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন।

র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা তথ্য জানার অধিকার দিবস এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুব্রত কুমার সিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সেলিম উদ্দিন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আজাদ, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার কর্মকার, সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) নিত্য নন্দ চৌধুরী, আব্দুর রব স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাফিয়া খাতুন, মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, আইটি অফিসার আশিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা জন সংগঠনের সভাপতি নুরুল ইসলাম, কোষ্ট ট্রাস্ট সমন্বয়কারী আবুল হাসান প্রমূখ।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম উদ্দিন বলেন, মহান জাতীয় সংসদে ২৯ শে মার্চ ২০০৯ তথ্য অধিকার আইনটি পাশ করা হয়। আইনটি ইতিমধ্যে সরকার ও জনগণের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কিছু তথ্য ছাড়া যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে যে কেউ তথ্য চাইতেই পারে। সকল দপ্তরে তথ্য প্রদানের জন্য নির্দীষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছে তিনি তাদেরকে তথ্য অধিকার আইন এর নীতিমালা অনুযায়ী তথ্য প্রদানের আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য তথ্য অধিকার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপুর্ণ। মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে, তৃণমূল পর্যায়ে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য তিনি সকলকে আহবান জানান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুব্রত কুমার বলেন, তথ্য আধিকার আইনের সঠিক বাস্তবায়নে সরকার ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছে। তথ্য আবেদনকারীকে তথ্য প্রাপ্তির আবেদনে তিনি কোন ধরণের বা কি তথ্য চান তা স্পষ্টভাŸে উল্ল্যেখ করতে হবে এবং তথ্যের ধরনের উপর নির্ভর করে কত সময় লাগবে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আজাদ। তিনি বলেন, গোপনীয়তার সংস্কৃতি খেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে, এটা না হলে সু-শাষন নিশ্চিত হবে না।

প্রবীণ সাংবাদিক বিটিভি জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের তথ্য অধিকার আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেন এবং কোথায় ব্যবহার করা যাবে, কোথায় যাবেনা সেই সম্পর্কে আলোচনা করেন।

জেলা জনসংগঠনের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব। তথ্য উম্মুক্ত রাখার প্রচলন আমাদের মধ্যে নেই, আমাদের এই সংস্কৃতির প্রচলন ঘটাতে হবে।

বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টেও প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: হাসান বলেন- শুধু জেলা পর্যায়ে নয়, আমরা ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও দিবসটি যথারীতি পালন করছি। প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার এই আইনটি প্রনয়ণ করেছে এখন তার সঠিক প্রয়োগ এর জন্য প্রয়োজন আরো বেশি প্রচার প্রচারণা ও তথ্য দাতাদের স্বদিচ্ছা। অপরদিকে দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন,তজুমদ্দিন,লালমোহন,চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় পালন করা হয়।

এমএইচএম/এএম/এফএইচ