বৃহস্পতিবার ● ২৮ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » ইসলাম শান্তির ধর্ম, হত্যা সমর্থন করেনা: কালেমার আমীর আ.মাজিদ
ইসলাম শান্তির ধর্ম, হত্যা সমর্থন করেনা: কালেমার আমীর আ.মাজিদ
আদিত্য জাহিদ: জঙ্গীবাদীরা ইসলামের শক্র, ইসলামের লেবাস ধারণ করে ধর্মকে আন্তর্জাতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তারা এসকল কাজ করে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম হত্যা সমর্থন করেনা। বাংলাদেশের একমাত্র ইসলামের পক্ষে কালেমার দাওয়াতের সাথীর আমির ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের কুলসুম বাগ গ্রামের মসজিদে তাকওয়ার পার্শ্ব দ্বিতল ভবনের পাশে বসে ভোলার সংবাদ ডট কমকে এক সাক্ষাৎকারে চরফ্যাশন সরকারী কলেজের সাবেক কৃষি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আ. মজিদ এসকল কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমার নিজস্ব জায়গার উপর দ্বিতল বিশিষ্ট ১০ টি ভবন রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার পুরুষ ও মহিলা মিলে প্রায় ৭শত লোক আমার সাথে সাথী হিসেবে আছে। অনেকে বউ বাচ্ছা নিয়ে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন পণ্য বাজার থেকে ক্রয় করে বাজার জাত করার পাশাপাশি মুসলমানদের ঈমানী দাওয়াত দেন, বিধর্মীদের ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে দাওয়াত দেন।
আলাপকালে তিনি আরো জানান, যারা মুসলমান তারা মানুষ হত্যা করতে পারেনা। অন্য যেকোন সংঘবদ্ধ দল হত্যা, বোমা বিষ্ফোরণ করে ইসলামের নাম দিচ্ছে।
সরেজমিনে কালেমার দাওয়াতের আমির অধ্যাপক আ.মজিদ, বলেন, ১/১১ সময় নৌ বাহিনী আমাকে সহ ২০/২২ জন সাথী আটক করে সন্দেহ জনক জেল হাজতে প্রেরণ করে জঙ্গিবাদ, হরকাতুল জিহাদ, আইএস বা অন্য কোন সংঘটনের সাথে যোগাযোগ না থাকার প্রমাণ পেয়ে জামিন দিলেও নজর দারীতে রেখেছে। গুলশানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার পর সহকারী পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল ) রফিকুল ইসলাম পরিদর্শণ করেন। এছাড়া আমার সাথীদের সাথে ডিবি, এসবি, এনএসআই, সাদা পোশাকে মনিটরিং করছে। পুলিশ পোশাকে বিভিন্ন সময়ে ১০ ভবনের সাথীদের সাথে মিশে আছে। পুলিশ সর্বদা আমাদের কালেমার দাওয়াত পল্লীর সাথীদের নজরদারীতে রেখেছে। আমি বর্তমানে অন্ধ হলেও আমাকে বিভিন্ন সময়ে জেরা করে হেনস্তা করার চেষ্টা করে। কোরআন শরীফ, সহীহ হাদিস, এর বরাত দিদয়ে ইসলামের দাওয়াত দেয়া ছাড়া আল্লাহ ও আল্লাহ’র রাসুলের নৈকট্য লাভ করা সম্ভব না হওয়ায় আমরা বিভিন্ন জেলার ইসলাম প্রিয় সাথীরা আমার পল্লীতে এসে ইসলামের দাওয়াতের কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
কালেমার দাওয়াত পল্লীতে অবস্থান কালীন জেলার বাহিরেরর, বরিশাল, রংপুর, গাইবান্ধা, পটুয়াখালী, ব্রাক্ষণবাড়িয়া সহ বিভিন্ন জেলার কিশোর সহ বিভিন্ন বয়সী সাথীদের সাথে সাক্ষাত মিলে। তারা বলেন, আমরা ব্যবসার পাশাপাশি কালেমার দাওয়াত দিয়ে থাকি। তারা আরো বলেন, তাদের মধ্যে চিকিৎসক,ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার, হকার, সহ সকল পেশার সাথী থাকার কারণে বাহিরে কারো কাছে যাওয়া লাগেনা।
এব্যাপারে চরফ্যাশন থানার ভারপ্্রাপ্ত কর্মকর্তা ম.এনামূল হকের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, কালেমার দাওয়াতের সকলের গতিবিধি আমাদের নজরদারীতে রয়েছে।
এফএইচ