ভোলায় জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-ধান ৬৪ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি:: ভোলা সদর উপজেলায় জিংক সমৃদ্ধ ধানের ব্রী-৬৪ জাতের ধানের কর্তন উপলক্ষে নবীপুর সাইক্লোন সেন্টার মাঠে হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় পিডিআই এর আয়োজনে  সোমবার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবেেউপস্থিত ছিলেন,ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন কালিকিত্তি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক  আলাউদ্দিন মাস্টার, হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ এ আর ডিও জাহিদ হোসেন , পিডিআই এর নিবাহী পরিচালক জনাব হারুন -অর-রশিদ। অনুষ্ঠান শেষে  ব্রী ধান ৬৪ এর প্রদশনী প্লটের অতিথি বৃন্দ সমূহ ধান কর্তন পরিদর্শন করেন। বিশ বর্গমিটারে বিশ কেজি ধান পাওয়া যায়।
অত্র এলাকায় উক্ত জাতের ধান চাষের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বীজ সংরক্ষণ করে ভবিষ্যতে চাষ করিবে এবং অন্যান্ন কৃষকদের কে বীজ সরবরাহ করা হইবে।
অনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তিতায় দেব দুলাল ঢালি বলেন ,ভোলা জেলায় জিংক সমৃদ্ধ জাতের ধানের চাষ ব্যাপক প্রয়োজন, কারণ ভোলা জেলার কৃষকগণ দক্ষতার ও অথনৈতিক অভাবে নতুন জাতের ধান চাষে ব্যাপক পিছিয়ে আছে। জিংক সমৃদ্ধ জাত ধান  চাষের গত বোরো মৌসুমে শুরু হয়েছে। জিংক মানুষের রোগ প্রতিরোধ কমতা, বুদ্ধি মত্তা বিকাশ সহ নানাবিধ প্রক্রিয়ার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। এই জাতের ধানে ৯% প্রোটিন থকে। মানুষের শরীরের আয়রণ ও প্রোটিনের চাহিদ মিটাবে।  এই জাতের ধানের চাল খেলে মানুষের শরীরের আয়রন ও পুষ্টির চাহিদা মিটবে। ১-৫ বছরের শিশুদের শারিরিক বৃদ্ধি তরান্বিত করবে এবং গর্ভবতী মায়েদের শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে। পাশাপাশি শিশুদের শরীর গঠনে সহায়তা করবে। জিংক বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি দমন, ডায়রিয়া, নিউমনিয়া, ম্যালিরিয়া আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে করে।