

রবিবার ● ৩১ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত শতাধিক, আটক ১১
ভোলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত শতাধিক, আটক ১১
বিশেষ প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ সমাবেশের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আব্দুর রহিম নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নিহত হয়েছেন। এসময় ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন জেলা বিএনপি। রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কালিনাথ রায় বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে তা সদর রোড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বিএনপির কর্মীরা ইট-পাটকেল ছোড়েন। বিপরীতে পুলিশ সদস্যদের টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে দেখা যায়।
দুপুর দুই টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরের বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি থাকা স্বত্বেও পুলিশ বিনা উস্কানিতে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের সমাবেশে হামলায় চালিয়েছে। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, মোঃ লিটন, মোঃ হারুন, মোঃ সেন্টু, মোঃ সালাহউদ্দিন, মোঃ আল আমিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ নুরে আলম, মোঃ রাজিব, মোঃ মহসিন, আকতার, লিটন, রাকিব, রাসেল, ওহিদসহ শতাধিক বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে ৩০জন গুলিবিদ্ধ বলে দাবী করেন জেলা বিএনপির সভাপতি। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ বাকীদের ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। কিছু নেতাকর্মী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, এসময় আমাদের ১১ বিএনপির নেতাকর্মীকে আটকের খবর পেয়েছি। ঘটনার পর থেকে আমরা ৭০ জন নেতাকর্মীকে বাসায় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় লোডশেডিং ও জ্বালানি তেলের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। বিক্ষোভ শেষে একটি মিছিল হওয়ার কথা ছিল।
‘সেখানে পুলিশ তাদের মতো দায়িত্ব পালন করেছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সমাবেশ শেষে আমাদের মিছিল করার কথা আগে থেকেই বলা ছিল। কিন্তু সমাবেশ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে।’
আমরা এ-ই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার দাবি করছি।
এদিকে ‘বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নাফিজা কামাল।
এব্যাপারে ভোলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সর্দার বলেন, বিএনপির নেতা কর্মীরা সমাবেশ শেষ করে তারা মিছিল নিয়ে রাস্তা বের হয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এতে পুলিশ সদস্যরা আহত হয়। জনগণের জানমাল রক্ষাত্রে পুলিশ একশনে যায়। ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান জেলাসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
-এফএইচ