

সোমবার ● ২১ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » তজুমদ্দিনে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছে ক্রাইম চক্রের সদস্যরা
তজুমদ্দিনে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছে ক্রাইম চক্রের সদস্যরা
রফিক সাদী: ভোলার তজুমদ্দিনের শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কোড়ালমারা এলাকায় গড়ে উঠেছে ভিলেজ ক্রাইম চক্র। এদের প্রদান কাজ গাঁজা -ইয়াবার ব্যবসা। সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও চাঁদাবাজী। দাবীকৃত চাঁদা পরিশোধ না করলে গাঁজা -ইয়াবা দিয়ে মারপিট করে ধরিয়ে দেয় পুলিশে। এমনই এক ঘটনা ঘটে
ওই এলাকার আঃ রশিদের ছেলে মোঃ নসু এর সাথে। ভিলেজ ক্রাইম চক্রের সদস্যরা মারপিট করে ইয়াবা দিয়ে নসুকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই আটকা পড়েছে পুলিশের জালে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মোঃ নসু দুই সহযোগী মিরাজ ও সিরাজকে নিয়ে কোড়ালমারা এলাকার নুরুজ্জামানের গাছ কাটতে আসে। এসময় ওই এলাকার সামীম, বজলু, নুর আলম, নুরনবী, শাহীন, ইমতিয়াজ, আক্তার, শাহীন মিলে নসুকে মারপিট করে কোমড়ে ইয়াবা দিয়ে কারেন্টের পিলারে সাথে বেঁধে রেখে পুলিশের কাছে খবর দেয়। পুলিশ নসুকে থানায় নেয়ার পর ঘটনা বিস্তারিত শুনে তদন্ত করলে আসল ঘটনা প্রকাশ পায়।
নসু অভিযোগ করেন, কয়েক মাস আগে কোড়ালমারা নতুন ব্রিজের কাছ থেকে কাঞ্চনের ছেলে নুর আলমকে ৪০টা ইয়াবা টেবলেট ও এক পুটলি গাঁজাসহ লালমোহন থানা পুলিশ আটক করে। নুর আলম দুই মাস ১৩ দিন জেল খেটে এসে ওই ঘটনায় দোষী বানিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবী করে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
ওই এলাকার বাসীন্দা মোঃ মফিজ মিয়া, মোঃ কামালউদ্দিন, শাখাওয়াত, মহিউদ্দিন সহ অনেকে জানান, নুরা, শামীম, বজলু সহ ১০/১৫ জনের একটি ক্রাইম টিম রয়েছে। এদের অবৈধ ব্যবসার বিরোধীতা বা চাহিদা পুরন না হলে এভাবে মানুষকে হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইন-চার্জ এসএম জিয়াউল হক বলেন, পুলিশী তদন্ত শেষে এই ঘটনায় জড়িত থাকায় অভিযোগে নুর আলম ও নুরনবীসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা এজাহার ভুক্ত করা হয়েছে।
-আরএস/এফএইচ