বুধবার ● ২৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ
লালমোহনে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: লালমোহনে এক দিনমজুরের বাগান দখল করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ৮ টি রেন্ডি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক মালের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চর ছকিনা ৫ নং ওয়ার্ডের হাঁস কালাম বাড়ীর আবু কালাম গং ও সাত্তার গংদের মধ্যে চরছকিনা মৌজার এসএ ২৯৪৫, ৪৬, ৪৭ নং দাগের বসত বাড়ির ১০৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমি নিয়ে ২০১৬ ইং সালে ভোলা জজ আদালতে মোকাদ্দামা দায়ের করা হলে আবু কালাম গংদের পক্ষে ৮৬ শতাংশ জমির মালিকানা রায় প্রদান করেন আদালত।
তার পর থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে আবু কালাম গংরা ওই ৮৬ শতাংশ জমির বসত ঘর ও বাগান ভোগ দখলে রয়েছে। তাদের ওই বাগানে বেশ কিছু মোটা রেন্ডি গাছ থাকায় সাত্তার গংদেরকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ইন্দনে আদালতের রায় উপেক্ষা করে দিনমজুর আবু কালাম গংদেরকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে সাদা কাগজে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তাদের অনুপস্থিতিতে সাত্তার গংদের সাথে নিয়ে স্থানীয় মেম্বার ফারুক মাল, জহির হাওলাদার, সিরাজ পঞ্চায়েত, সোহাগ পন্ডিত ও ছালাম মালসহ বেশ কিছু লোকজন আবু কালাম গংদের জমিতে ফিলার গেড়ে বাগান দখল করে নেয়। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য ফারুক মালের নির্দেশে দখলকৃত বাগান থেকে জোরপূর্বক ভাবে প্রায় আড়াই লাখ টাকার রেন্ডি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এসময় বেপরোয়া ভাবে রেন্ডি গাছ কেটে ফেলার সময় বাগানের বেশকিছু ছোট ছোট নারিকেল ও সুপারি গাছ নষ্ট করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, অন্যায় ভাবে ফারুক মেম্বার এর সহায়তায় সালিশের নামে নিরীহ আবু কালামদের বাগানের জমি জোরপূর্বক সাত্তার গংদের দখল করে দিয়ে গাছ কেটে নিয়ে আত্মসাৎ করছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ফারুক মাল জানান, আমরা কাগজ পত্র দেখে জমি বন্টন করেছি। কারো জমি কাউকে দেওয়া হয়নি।
রেন্ডি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, গাছ আমার ভাই সোহরাব মাল ৪০ হাজার টাকায় সাত্তার গংদের কাছ থেকে কিনেছের।
তবে ফারুক মাল এর ভাই সোহাগ মাল জানান, গাছ তিনি ৮০ হাজার টাকায় কিনেছেন।
এবিষয়ে লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনাটি আমি শুনেছি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-তুহিন/এফএইচ