শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
রবিবার ● ১০ মে ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর » “সহি মুমিননামা”
প্রথম পাতা » জেলার খবর » “সহি মুমিননামা”
৭৫১ বার পঠিত
রবিবার ● ১০ মে ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

“সহি মুমিননামা”

---

 

নামঃ তরিকুল ইসলাম মুমিন, ওরুফে “মুর্কামমিন”। পেশাঃ প্রতারণা। বাড়িঃ ভোলা ভোলা সদর পৌরসভায়। বিবাহিত অনেক আগের থেকেই। এক বিস্ময়কর প্রতিভার নাম। চাটুকারিতা ও প্রতারণার মতো ঘৃণিত কাজ যে একেকটা শিল্প হয়ে উঠতে পারে সেটা মুমিনকে না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষর/সিদ্ধান্ত টেম্পারিং করে জাল করা/বদলে দেবার অভিযোগে চাঞ্চল্যকর প্রতারণা মামলায় চৌদ্দশিকের ভেতরে আছে, ছাত্রলীগ থেকেও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা মুর্কামমিনের সিগনেচার ক্যারেকটার। ৫ হাজার, ১০ হাজার টাকার ফুলের তোড়া, নামি-দামি উপহার নিয়ে জীবনে বহু নেতা ও আমলাদের গ্রিনরুমে পৌঁছে গিয়েছে মুমিন। যেকোনো প্রভাবশালীকে বশে আনা মুমিনের বুড়ো আঙুলের খেল। এই ছবিটা আওয়ামী লীগের লাখ লাখ ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য একটা চপেটাঘাত, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারবো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৯৯% সাবেক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন একটা ছবি নেই। আগেই বলে নিচ্ছি এই লেখায় যেসব নেতাদের নাম পরোক্ষভাবে আসবে, তাদের কোনো দোষ নেই, তারা সবাই মুমিনের মিথ্যাচার ও প্রতারণার স্বীকার। 

মুমিন এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় আসে আরও প্রায় ১০ বছর আগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোলার এক প্রভাবশালী নেতার (তৎকালীন কেন্দ্রীয় উপ-সম্পাদক ও পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি) ফুটফরমাশ খেটে তার কাছে যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ক’টা দিনে আশ্রয় চায়। সেই নেতা ভালমনে তার সূর্যসেন হলের রুমে আশ্রয় দেয়, পরীক্ষার ক’টা দিনই তো, ৪-৫ মাস সর্বোচ্চ থাকবে! কিছুদিন পর দেখা গেলো মুমিনের ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দেওয়া। টিএসসি-হাকিম-মধু সব জায়গায় মুমিন পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে। তার আশ্রয়দাতা নেতা ধীরে ধীরে টের পেলো মুমিন শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিচয় দিয়েই ক্ষান্ত না, এই পরিচয় ব্যবহার করে সে সূর্যসেন হলসহ বিভিন্ন হলের ছাত্রদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে খাচ্ছে। কিছুদিন পর দেখা গেলো মুমিন আসলে ইন্টারমিডিয়েটে ফেল করেছে, ভর্তি পরীক্ষায় বসার যোগ্যতাই নাই। তার আশ্রয়দাতা এবার তাকে রুম থেকে বের করে দিলো। এবার মুমিন ভর করলো ভোলার আরেক প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা উপর, যিনি ছিলেন তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

এবার আগের আশ্রয়দাতা বড়ভাই আর মুমিনের কাছে ভালো নেই। মুমিনের ধ্যানজ্ঞান এখন এই প্রভাবশালী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। একই এলাকায় বাড়ি হবার সুবাদে ভালো সম্পর্ক থাকায়, আগের আশ্রয়দাতা নেতা বহু সতর্ক করেছে নতুন আশ্রয়দাতাকে, নতুন আশ্রয়দাতা তাকে বলেছে কখনো ৭ দিন, কখনো ১০ দিন পর একে বের করে দিবো, কিন্তু এমন করে ৩ বছর তার রুমে স্থায়িত্ব পেয়ে গেলো মুমিন। আর এর মধ্যেই মুমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও চিনে ফেললো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অলিগলি, হল রাজনীতির গ্রুপিং, আর গ্রামে এসে মিথ্যা পরিচয় দিতো কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। যাইহোক সেই বড়ভাই বিয়ে করার পর বাসা নেয়, তার রুমটা মুমিন দখল করে সূর্যসেন হলের “বৃহত্তর বরিশাল গ্রুপ” এর হর্তাকর্তারূপে নিজেকে জাহির করতে লাগলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাৎকালিক সভাপতি, যার বাড়ি ছিলো বরিশালে, তাকে বশ করে। এবার আর আগের আশ্রয়দাতা কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেই বড়ভাই মুমিনের কাছে ভালো নেই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতির কাছে আগের আশ্রয়দাতার নামে বদনাম করে, চাটুকারিতা করে সে নিজের জায়গা শক্ত করে নিয়েছে। যদিও সেই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বড়ভাই হল ছেড়ে যাবার সময় বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতির কাছে খবর পাঠিয়েছিলো এই প্রতারককে যেনো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় ব্যবহার করতে না দেওয়া হয়, কাজ হয়নি, মুমিনের চামচামির সফলতাই এখানে। সে যখন যার উপর ভর করে সেই মুমিনের ঘোরের মধ্যে চলে যায়। মুমিনের বাপ-মা ততদিনে ঢাবির সভাপতি। আগেই বলে নিয়েছি মুমিনের বিস্ময়কর প্রতিভা কথা, যে কাউকে বশে আনার সক্ষমতার কথা। মুমিন যদি টার্গেট করতো আমি এই লোকটার কাছে যাবো, ভেতরে ঢুকবো, আয়ত্তের মধ্যে থাকলে তাকে সে বশ করতোই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও যদি মুমিনের আয়ত্তের মধ্যে থাকতো মুমিন নেত্রীকেও বশ করে ফেলতে পারতো, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। 

এরমধ্যে আরেকটা কেন্দ্রীয় কমিটি হলো, এবারও সে কেন্দ্রীয় সদস্য পরিচয় দিতে লাগলো। কমিটি যায় কমিটি আসে, মুমিনের সদস্যপদ ফুরায় না। এ যেনো প্রতারণা ও মিথ্যাচারের এক বিস্ময়কর শৈল্পিক খেলা। যাইহোক, তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে কি যাদু করেছে মুমিন, সে সূর্যসেন হলের বৃহত্তর বরিশাল গ্রুপ দেখাশোনা শুরু করলো, গেস্টরুমে জুনিয়রদের উপর ছড়ি ঘোরাতে লাগলো। হলের নতুন সভাপতির বাড়িও যেহেতু বরিশালে তাকেও বিক্রি করা শুরু করলো। মুমিনের অবৈধ টাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্ডিডেট, বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় অনেক নেতা মধুর ক্যান্টিন, আইবিএ, নামি-দামি হোটেলে পেটপূজোয় অংশ নিতে লাগলো। কেউ কেউ গলা ভেজাতেও যেতো মুমিনের সাথে। সেসব সুবিধাভোগীরাও দেখি আজ চিপায় পেয়ে মুমিনের সমালোচনা করে, এতদিন তো আরাম লেগেছিলো মুমিনের টাকা তাইনা! একসময় মুমিন যে আদৌও কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলো না সেটা প্রকাশ পেয়ে গেলো, সূর্যসেন হলকে অনিরাপদ মনে করে মুমিন এবার বাসা নিলো। কারন ঢাবির ছাত্রের পরিচয়ে সূর্যসেন হলে ৩ বছরে কয়েক হাজার ছাত্রের উপর মুমিন কর্তৃত্ব করেছে, তারা তো এখন মুমিনকে যেখানে পাবে সেখানেই মেরে হাত-পা ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দেবে। ইন্টারমিডিয়েট ফেল মুমিন এবার পরিচয় দিতে লাগলো নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে, আদতে এখানেও সে পাশ করতে পারে নি। সূর্যসেন হলের সভাপতি আর ঢাবির সাবেক সভাপতিও বুঝতে পারলো তারা কতো বড় প্রতারকের পাল্লায় পড়েছিলো!

সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হলো। অনেক স্বপ্ন নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী কেন্দ্রের রাজনীতি শুরু করলো। মুমিনরাও তাদের কার্যক্রম শুরু করলো পুরোদমে। একদিন মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে দেখি মুমিন একটা R15 বাইক নিয়ে এলো খুব ভাব নিয়ে, আর আমার নেতা তার পেছনে উঠে চলে গেলো। ঘুমের ঘোরে আছি কিনা বোঝার জন্য চোখ ডললাম, দেখি না এটা সত্যিই সেই চিটার মমিন। নেতার বাসায় গিয়ে দেখি ৫ হাজার টাকার ফুলের তোড়া। দুঃখ হলো, রাগ হলো। এর মধ্যে একদিন সূর্যসেন হলে মুমিনের আশ্রয়দাতা ও মুমিনের দ্বারা ভুক্তভোগী সাবেক নেতাদের একজন এলেন আমার ক্যাম্পাসে। অনেকক্ষণ সময় কাটানোর পর রাজনৈতিক আলাপ শুরু হলে বলি, সেক্রেটারির সাথে মুভ করছি, মুমিন নামে একটা ছেলেও দেখলাম বেশ প্রটোকল দেয়। সেই ভাই আমাকে সতর্ক করে দিলো, ভুলেও মুমিনের সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে যাস না তোর নেতারা কাছে, দেখবি তুই হুট কর মাইনাস হয়ে গেছিস। আমিও আমার নেতাকে কোনদিন বলতে পারি নি, ভাই এই ছেলেটা ফ্রড, এই ছেলেটা ধোঁকাবাজ, একে জায়গা দিয়েন না। ভেবেছি, এতোই কি সহজ ছাত্রলীগের পদ পাওয়া? কিন্তু ততদিনে মুমিন ছাত্রলীগের কাঁধে ভর করা আরেক “জিকে শামীম” হয়ে উঠেছে, পরিনত হয়েছে দানবীয় ফ্রাঙ্কেস্টাইনে।

ছাত্রলীগের আদর্শ-চেতনা ধারণ করার কথা বাদ দিলাম, জীবনে একটা দিনও মিছিল না করে, একটা দিনও ছাত্রলীগ না করে, একটা দিনও কোনো ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর, বেসরকারি ইউনিটে, ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়ে রাজনীতি না করে, মাদক ব্যবসা, জালিয়াতির দায়ে মামলা থাকা, বিবাহিত হয়েও তা লুকিয়ে, ভোলার “মুর্কামমিন” বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পদ পেয়ে আজকের তরিকুল ইসলাম মুমিন বনে গেলো! 

মুমিন নিজেকে ভোলার এক জাতীয় নেতার নাতি পরিচয় দিতো ঢাকায় গিয়ে, অথচ জাতীয় নেতা তাকে ভালো করে চিনতোও না। আবার ভোলায় এসে দিতো সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর লোক পরিচয়। মুমিনের সহ-সভাপতি পদের জন্য ফোন করেছে ভোলার সেই জাতীয় নেতার স্ত্রী ও পালক পুত্র। মুমিনের পদের জন্য ফোন করেছে সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর স্ত্রী, পিএস এমনকি মন্ত্রী নিজেও নাকি ফোন করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সূর্যসেন হলের এক ছোটভাই আফসোস করে বলে, “ভাই এই মুমিন যেদিন সেক্রেটারির কাছে প্রথম যায় সেদিন বঙ্গবন্ধু হলের জনৈক নেতা আর আমি ছিলাম। বঙ্গবন্ধু হলের সেই ভাই পায় উপ-সম্পাদক আর মুমিন পেয়েছে সহ-সভাপতি, আর আমি কোনো পদই পাই নি!”

মুমিনের দ্বারা ভুক্তভোগী সাবেকদের একজন বলেছে, “এই মুমিনকে পোলাপান দিয়ে পিটাই নাই, ওর সাথে আমার নামটাও শোনা যাবে, আমার লেভেলে চলে আসবে, এই আশংকায়, আর এখন আমিও সাবেক সহ-সভাপতি, মুমিনও সাবেক সহ-সভাপতি! আলাদা লেভেলে আর রইলাম কই?”

একজন আমাকে নক করে বললো, “কমিটির পর যে ৩-৪ জনের নাম খুঁজেছি তার মধ্যে তুই ছিলি। তুই না থাকার পর যখন মুমিনের নাম দেখলাম, দুঃখটা আরও বেড়ে গেলো। হায় ছাত্রলীগ, খারাপ লাগে!” আমার উত্তর ছিলো, “যোগ্যতার বিপরীতে না পেয়ে এমন দাসবৃত্তি করে পদ পাবার মধ্যে কোনো সম্মান নেই। 

যাইহোক, মুর্কামমিন অধ্যায় এখন অতীত। আজ দুপুরে জয় ভাই, লেখক ভাই সাক্ষরিত বর্তমান কেন্দ্রীয় পরিষদ মুমিনকে স্থায়ী বহিষ্কার করে ছাত্রলীগের গা থেকে কলঙ্ক মোচনের উদ্যোগ নিয়েছেন। মুমিনের অবৈধ উপায়ে উপার্জিত কোটি কোটি টাকার সামনে নিশ্চয়ই এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু আদৌও কি কলঙ্ক যাবে? মুমিনরা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, এটাই তো মুমিনের সবচাইতে বড় সফলতা। আপনি কে? আমি কে?

রাজনীতিতে বটগাছ, ফলগাছ, ছোটগাছ, আগাছাও আছে। কিন্তু মুমিনরা হলো রাজনীতির পরগাছা, যারা অন্যের নাম, সম্পর্ক, বিশ্ববিদ্যালয়, পদবি নিজের নামে ব্যবহার করে একসময় সত্যি সত্যিই নিজের একটা পরিচয় পেয়ে যায়, জাতে উঠে যায়। মুমিনরা তাই আমার দৃষ্টিতে শুধু অপরাধীই নয়, এক বিস্ময়কর প্রতিভা। দেশে-বিদেশে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে প্রচুর আন্ডারকভার এজন্ট নিয়োগ হয়, যেখানে পরিচয় লুকিয়ে ফেইক পরিচয় প্রতিষ্ঠা করা একটা কঠিন দায়িত্ব, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থাকা সত্ত্বেও। মুমিনরা রাষ্ট্রীয় সহয়তা ছাড়াই একা লড়াই করে ফেইক পরিচয় ব্যবহার করে নিজের আসল পরিচয় প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে, প্রতারণা করে আয় করেছে কোটি কোটি টাকা। কে জানে, ধরা না পড়লে হয়তো একদিন এমপি-মন্ত্রীও হয়ে যেতে পারতো! টেম্পারিং করে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেবার মতো হঠকারী কাজ আপাতদৃষ্টিতে অনেক বড় অন্যায় হলেও রাষ্ট্রীয় আইনে এর খুব বেশি সাজা নেই, দুয়েক বছর জেলে থাকবে বড়জোর। এরপর মুমিনরা খুব সহজেই জেল থেকে বের হয়ে আবারও তাদের প্রতিভার প্রয়োগ শুরু করবে। কালো টাকায় কি না হয়? আর এমন ট্যালেন্টকে তো জেলেও মানায় না, তাই আমি মনে করি রাষ্ট্রের উচিৎ এমন বিরল ট্যালেন্টকে কাজে লাগিয়ে যথাযথ মূল্যায়ন করা। 

কাল রাত থেকে অনেক মানুষ ইনবক্সে নক করে যাচ্ছেন মুমিনের ব্যাপারে। মুমিনের জেলা, রাজনৈতিক নেতা এসব আমার সাথে মিল থাকায় কিছুটা দায়ভার আমাদের উপরেও বর্তায়, তাই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কিছুটা দায়মুক্ত হবার চেষ্টা করলাম। আমাকে যেনো আর শুনতে না হয়, মুমিন তোমার নেতার লোক, রাজপথে শ্রম দেওয়া আমার ছাত্রলীগের কোনো অনুজকে যেনো শুনতে না হয়, মুমিন তোমার এলাকার লোক! তাদের সংগ্রামী পথচলা মুমিনদের মতো নষ্ট কীটদের দ্বারা যেনো বিতর্কিত না হয়! দিনশেষে চাওয়া একটাই, ছাত্রলীগ পরিবার ভালো থাকুক।

লিখক: হামজা রহমান অন্তর, সহ-সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি, ছাত্রলীগ।





জেলার খবর এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায়
ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত
ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময়
চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী
ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।