শনিবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে জলবায়ু মোকাবেলায় উপকূলীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ
চরফ্যাশনে জলবায়ু মোকাবেলায় উপকূলীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ
বিশেষ প্রতিনিধি: জলবায়ু মোকাবেলায় উপকূলীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে ভোলার চরফ্যাশনে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের আয়োজনে ভোলার ৭ উপজেলার সাংবাদিকদের নিয়ে শনিবার এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হলো। প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন এটিএন নিউজের হেড অব দ্যা নিউজ মানষ ঘোষ, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার পিনাকী রায়, কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক বরকত উল্যাহ মারুপ ও কোস্ট ট্রাস্টের টিম লিডার রাশিদা বেগম।
চরফ্যাশন কোস্ট ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে উপকূলীয় অঞ্চলের সংবাদ পরিবেশণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, সম্ভাব্যতা নিয়ে সাংবাদিকরা আলোচনা করেন। দেশের উপকূলীয় এলাকার মতো, উপকূলীয় অঞ্চলের সাংবাদিকতাও অবহেলিত। এ ক্ষেত্রে যে কোণ দুর্যোগ মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও টেকসই ভূমিকা রাখতে পারে স্থানীয় সংস্থা ও গণমাধ্যম গুলো। তারা ওই এলাকাতেই থাকেন। ওই এলাকার সমস্যা ও সমাধানের পথ তারাও কম জানেন না। অনেক ক্ষেত্রে বেশিই জানেন। বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলের দৈর্ঘ্য ৭১০ কিলোমিটার, এর মধ্যে সুন্দরবন ১২৫ কিলোমিটার, নদীর মোহনা ও ছোট-বড় দ্বীপমালা ২৭৫ কিলোমিটার, সমতল ও সমুদ্রসৈকত ৩১০ কিলোমিটার। টেকনাফের নাফ নদের মোহনা থেকে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত নদী রায়মঙ্গল-কালিন্দী পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১৪টি উপকূলীয় জেলায় বিস্তৃত বাংলাদেশের উপকূলেই দেশের প্রধান দুটি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মোংলা। বিশ্বের সেরা ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং বিশ্বের অন্যতম অখ-িত সমুদ্রসৈকত বা বেলাভূমি কক্সবাজারে অবস্থিত। দেশের ২৫ শতাংশ জনগণ যেমন এই উপকূল অঞ্চলে বসবাস করে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতে জিডিপির কমবেশি প্রায় ২৫ শতাংশ অবদানও এই অঞ্চলেরই। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও এই অঞ্চল, এর অবকাঠামো ও বসবাসকারী জনগণের অর্থনৈতিক জীবন নানা দৈব-দুর্বিপাক, বৈষম্য, অবহেলা আর অমনোযোগিতার শিকার।
১৭৯৭ থেকে শুরু করে ২০০৯ সালের আইলা পর্যন্ত সময়ের শুমার-পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মোট ৪৭৮ বার মাঝারি ও মোটা দাগের জলোচ্ছ্বাস, গোর্কি, হারিকেন, সিডর, নার্গিসরা বাংলাদেশের উপকূলকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ১৭৩ বছরে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে ৩২৯ বার, এসেছে গড়ে ৫-১০ বছর পর পর, কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের বিগত ৪০ বছরে ১৪৯টি ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস ঘটেছে ঘন ঘন। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সর্বশেষ সিডর আর আইলার আঘাতে স্বয়ং সুন্দরবনও পর্যুদস্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণি এতে উপকূলে আঘাত হেনে গেছে।
-এসপি/এফএইচ