শুক্রবার ● ৩ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » কৃষি » ভোলায় অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ক্ষেত তলিয়ে লোকসানের মুখে আখ চাষীরা
ভোলায় অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ক্ষেত তলিয়ে লোকসানের মুখে আখ চাষীরা
জুয়েল সাহা :: ভোলায় গত বছরের তুলনায় এবার আখের বাম্পার অনেক ফলন ভালো হয়েছে। সারা দিন ক্ষেত পরিচর্যায় করে ব্যাস্ত পারও করছেন এখানকার আখচাষীরা। এবার সব ধার-দেওনা পরিশোধ করে সঞ্চয় করা যাবে। এমনটাই কদিন আগে স্বপ্ন দেখেছিল ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নের আখ চাষীরা। তারাদের সব স্বপ্ন অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে নিয়ে গেছে। মেঘনার জোয়ারে পানি আখ ক্ষেতে প্রবেশ করায়। আখের পচঁন ধরে লোকসানের মুখে পড়েছে চাষীরা।
এদিকে, ভোলার সদর উপজেলায় শক্ত বাঁধ নির্মাণ করা হলেও জোয়ার ও অতিবৃষ্টির পানি বৃদ্ধি হয়ে গোড়া পচাঁ, লাল পচাঁ, মাখা পচাঁসহ বিভিন্ন পচঁন ধরেছে আখে লোকসান গুণতে হবে চাষীদের। এখন ঔষুধ দেওয়ার সময় না থাকায় দিশেহারা চাষীরা।
ভোলা কৃষি অফিস তথ্য মতে, এ বছর ভোলা জেলায় মোট ৬১৩ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এদের মধ্যে ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর ও ইলিশা ইউনিয়নে ২০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে।
রাজাপুর ইউনিয়নের আখ চাষী মিজানুর রমান, হারুন আর রশিদ ও মনু মির্জা জানান, অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হয়ে আখের ক্ষেতে পানি প্রবেশ করে ক্ষেত ডুবে গিয়ে বিভিন্ন পোকা আক্রমন করে পচঁন ধরেছে। এ সময় ক্ষেতে ঔষধ দেওয়ার মত সময় নেই। এবার অনেক টাকা লোকসান হবে।
ইলিশা ইউনিয়নের আখ চাষী হাসিব রহমান, আবদুল জসিম ও আবদুল কাদের জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আখ অনেক ভাল হয়েছে। কিন্তু জোয়ার ও বৃষ্টির পানি ক্ষেতে প্রবেশ করে আখের গোড়া পঁচন ধরেছে। কৃষি অফিসারা আমাগোরে ক্ষেতে ঔষধ দিতে কয়। কিন্তু ভাল সু-ফল পাই না।
ভোলা কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তা দুলাল ডালী জানান, রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নের বেশিভাগ ক্ষেতে অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় অল্প কিছু ক্ষেতে পোকার আক্রোমন হয়েছে। তবে আমারা কৃষকদের সঠিক ঔষধ দিতে পরামশ দিয়েছে। তবে এবার প্রতি বছরের চেয়ে আখের ফলন অনেক ভাল হয়েছে।