শুক্রবার ● ৮ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার ছয় উপজেলায় আলীগের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত,লালমোহনে নজরুল গিয়াসের লড়াই
ভোলার ছয় উপজেলায় আলীগের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত,লালমোহনে নজরুল গিয়াসের লড়াই
বিশেষ প্রতিনিধি: চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোলা জেলার ৭ টি উপজেলার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। বুধবার মনোনয়ন পত্র যাচাই- বাছাইয়ের পর ভোলা সদর উপজেলা পরিষদে মো. মোশারেফ হোসেন, দৌলতখানে মনজুর আলম খান, প্রথম দাপের ২৪ মার্চ নির্বাচনে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তজুমদ্দিনে ফজলুল হক দেওয়ান, মনপুরায় সেলিনা আখতার চৌধুরী, চরফ্যাশনে জয়নাল আবেদীন আখনের কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় তাদের শুধু বিজয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকী রয়েছে।
রিটার্নিং অফিসারের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মার্চ জেলার ৭টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৪২ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাচাই বাছাইয়ে ৪জন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যানের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।
সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোশারেফ হোসেন, ভাইসচেয়ারম্যান পদে আলহাজ্ব মো. ইউনুছ, ও নারী ভাইস চেয়ারম্যা পদে সেতারা বেগম একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাচাই বাছাইতে এদের ৩ জনের মনোনয়পত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মৃধা মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
দৌলতখান উপাজেলা চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী মনজুর আলম খানের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়। পুরুষ ভাইসচেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্ব›িন্দ্বতা করলেও নারী ভাইস চেয়ারম্যান আইনুন নাহার রেনুর কোন প্রতিদ্বন্দি¦ নাই।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আসন্ন ২৪ মার্চ উপজলো নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের নৌকার প্রার্থী হিসাবে বর্ষীয়ান নেতা আবুল কালাম আজাদকে নমিনেশন দেওয়া হয় এবং আমাদের প্রার্থীর সাথে আরও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট চারজন প্রার্থী হয়। পরবর্তীতে একজনের প্রার্থীতা যাচাই বাচাইকালে বাতিল হয় এবং অপর দুজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে আ’লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান ৩ জন মনোনয়ন দাখিল করলেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত শেলিনা আখতার চৌধুরী ছাড়া বাকী ২ জনের মনোনয়ন পত্র যথাযথ না হওয়ায় বাতিল করে দেন রিটার্নিং অফিসার। এরা ২ জন হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নরুল ইসলাম ফরাজি ও ফরহাদ হাওলাদার। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়। তবে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে পারভীন আখতার রেবু একক প্রার্থী হওয়ায় শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকী রয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলালের মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ের পথে। এ উপজেলার ৬ জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে আবদুল মতিনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এখনও ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রয়েছেন।
চরফ্যাশনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান শহিদের মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগের জয়নাল আবেদীন একক প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান ২ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্ব›িন্দ্ব রয়েছেন।
তবে ৬ উপজেলা পরিষদে বিনাপদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা নির্বাচিত হলেও হাড্ডা হাড্ডি হবে লালমোহন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। এখানে বর্তমান উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন সাবেক তিন বারের উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত ও শক্তিশালী প্রার্থী অধ্যক্ষ একেএম নজরুল ইসলাম। এছাড়া জাতীয় পার্টির মাহাবুব এলাহী রয়েছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
-এসইউ/এমএন/এফএইচ