মঙ্গলবার ● ১ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার ৪টি আসনে আ’লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী, ভোট দেয়নি বিএনপির ৩ প্রার্থী
ভোলার ৪টি আসনে আ’লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী, ভোট দেয়নি বিএনপির ৩ প্রার্থী
বিশেষ প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে ভোট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ৩ প্রার্থী।
বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, ভোলা-১ সদর আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনে আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও ভোলা-৪ আসনে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
ভোলা সদর আসনে ১১৩টি ভোট কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪’শ ৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে তিনি অষ্টম বারের মতো সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলনের হাত পাখা প্রতীকে মাওলানা মোহাম্মোদ ইয়াছিন ৭ হাজার ৮’শ ১ ভোট পেয়েছেন। ধানের শীর্ষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর পেয়েছেন ৭ হাজার ২’শ ৯৯ ভোট। জাতীয় পটি লাঙ্গল কেফায়েত উল্লাহ পেয়েছেন ১ হাজার ৫’শ ১৮ ভোট। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পাটি কাস্তে প্রতিকে পেয়েছেন ১ হাজার ২ ভোট।
ভোলা-২ আসনের ১১২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সব কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৭’শ ৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাফিজ ইব্রাহিম পেয়েছেন ১৪ হাজার ২’শ ১৪ ভোট। ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী হাত পাখা প্রতীকে মোঃ ওবায়দুর রহমান পেয়েছেন ৮ হাজার ২ ’শ ৭৭ ভোট।
ভোলা-৩ আসনের ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সব কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ২’শ ১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী হাত পাখা প্রতীকে মাওলানা মো: মোসলে উদ্দিন পেয়েছেন ৪ হাজার ১’শ ৫১ ভোট। বিএনপি প্রার্থী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন ধানের শীর্ষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫ ’শ ১৪ ভোট। জাতীয় পটি লাঙ্গল নুরননবী সুমন পেয়েছেন ২ হাজার ২’শ ৭৫ ভোট।
ভোলা-৪ আসনে ১৩৬ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সব কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী এ্যাড. মহিবুল্লাহ পেয়েছেন ৬ হাজার ৪’শ ৮১ ভোট। বিএনপি প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলম ধানের শীর্ষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯ ’শ ৯৬ ভোট ।
ভোলা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ এর রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের ৪ জন, বিএনপি’র ৪ জন, ইসলামী আন্দোলনের ৪জন, জাতীয় পার্টির ২ ও সিপিবির ১ প্রাথীসহ মোট ১৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
জেলার ৪৭৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। এখানের ভোটার ছিলো ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৮’শ ২১ জন।
ভোটের দিন সকালের দিকে শহরের বাংলাস্কুল ভোট কেন্দ্রে সদর আসনের আওয়ামীলীগ প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ এবং বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর ভোট দিয়েছেন।
এছাড়া ভোলা-২ এর আ’লীগের প্রার্থী আলী আজম মুকুল ও ভোলা-৩ আসন লালমোহনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও ভোলা-৪ আসনর চরফ্যাশনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ভোট প্রদান করলে ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি বিএনপির ৩ প্রার্থী।
ভোলা-২, ৩ এবং ৪ আসনের বিএনপি ও জাতিয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম, মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও নাজিম উদ্দিন আলম তাদের নিজেদের ভোট প্রদান করতে পারেন নি বলে অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও ভোলা ৩ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম অভিযোগ করেছেন, তিনি নিরাপত্তার কারনে ভোট দিতে যেতে পারেন নি। তিনি লালমোহন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আবদুল ওহাব মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন।
অপরদিকে একই অভিযোগ করেন বিএনপি ভোলা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম তার নিজের ভোট দিতে পারেন নি বলে অভিযোগ করেন। তিনি বোরহানউদ্দিন পৌর ৭নং ওয়ার্ডের সরকারী আবদুল জাব্বার কলেজ কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন।
ভোলা-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলম ভোট দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মালতিয়া। তিনি চরফ্যাসন করিমজান মহিলা কামিল মাদরাসা কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন।
-এএইচটি/এফএইচ