শুক্রবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » রাজনীতি » ভয়ের কিছু নেই ৩০ শে ডিসেম্বর ভোট বিপ্লবের ডাক ঐক্যফ্রন্টের
ভয়ের কিছু নেই ৩০ শে ডিসেম্বর ভোট বিপ্লবের ডাক ঐক্যফ্রন্টের
ঢাকা: নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের হেনস্তা ও হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সরকার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করলেও এতে কোনো ভয় নেই। ৩০শে ডিসেম্বর ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করবো। গতকাল বিকালে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, সারা দেশে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ৩০শে ডিসেম্বর ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আপনারা দেশের মালিক হবেন।
তিনি বলেন, আমরা পরিবর্তন চাই। শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন চাই।
আমরা সবাই মিলে ভোটের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করবো। ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস।
৩০শে ডিসেম্বর আরেকটি বিজয় অর্জন হবে ভোটের মাধ্যমে। কোনো ভয় নেই, আমরা আজীবনই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আপনারা বিজয়ী হচ্ছেন। শক্তভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে সকাল সকাল ভোট দিতে যাবেন। এসময় তিনি বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি একটি মার্কার পক্ষে। সেই ধানের শীষ মার্কায় আপনারা ভোট দেবেন। পরিবর্তনের জন্য আমি ধানের শীষ প্রতীকে দেশবাসীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ড. কামাল বলেন, ধানের শীষে ভোট দেবেন, এটা কোনো দলের প্রতীক নয়, ঐক্যের প্রতীক।
ড. কামাল বলেন, যদি কেউ বলে তোমরা প্রজা হয়ে থাকো। আমরা তো তোমাদের অনেক উন্নয়ন করছি। এটা অনেক পুরাতন কথা। এটা আইয়ুব খানের কথা। যারা বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরশাসক- এটা তাদের কথা। এটা বাংলাদেশের জনগণের কথা হতে পারে না। আপনাদের মোবারকবাদ জানাই, বাংলাদেশের মানুষ আজ এসব কথায় কান না দিয়ে তারা বলছে আমাদের অধিকার চাই। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা দেশের মালিক হবো। প্রজা থাকা এক মুহূর্তের জন্যও আমরা মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক শাসকরা বলতো তোমরা প্রজা হয়ে থাকো। রানী-মহারানীর কথা মেনে চলো। আমরা তো তোমাদের কতো উন্নয়ন করে দিচ্ছি।
এই বড় শহর করে দিচ্ছি। বড় রাস্তা করে দিচ্ছি। এগুলো আপনারা যারা তরুণ আপনাদের মনে নেই। কিন্তু আমরা যারা ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে কিছুদিন কাটিয়েছি, তারা জানি- ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তারা এই কথাগুলো চালিয়েছে। দুঃখের বিষয় পাকিস্তান হওয়ার পরও তারা আমাদের বলতো আমরা তোমাদের কতো উন্নয়ন করে দিচ্ছি। তোমরা অকৃতজ্ঞ। এই কথাগুলো তখনো আমাদের শুনতে হয়েছে। ড. কামাল বলেন, এখন এই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে। এই কথাটা শুনতে শুনতে আইয়ুব খানের কথা মনে পড়ছে। উনি তো প্রবৃদ্ধি দিয়েছিলেন। তাতে কি আমরা ৬ দফা বাদ দিয়েছিলাম? ১১ দফা বাদ দিয়েছিলাম? এটা প্রত্যাখিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে।
৪৭ বছর পরে কেন এই কথাগুলো আবার আমাদের শুনতে হয়? এটা একদম ব্যাকডেটেড কথা। এটা প্রত্যাখিত কথা। দেশে-বিদেশে এই কথাটা প্রত্যাখিত হয়েছে। তিনি বলেন, উন্নয়ন উন্নয়ন উন্নয়ন করে মুখে ফেনা উঠানো হচ্ছে। এটা হলো আইয়ুব খানের প্রত্যাখিত বক্তব্য। যেটা আমরা ’৭১-এ প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু প্রত্যাখ্যান করেছিল। প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে যদি আমরা পাগল হয়ে যেতাম তাহলে বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আহ্বানও করতেন না। শহীদরা এভাবে জীবনও দিতেন না। ড. কামাল বলেন, প্রবৃদ্ধির হার দিয়ে মানুষ মূল্যায়ন করবে এটা আমরা চাই না। এই কারণে নির্বাচন। আপনারা এটা পুরোপুরি উপলব্ধি করছেন।
কেননা, নির্বাচনই নিশ্চিত করবে আপনাদের মালিকানা। নির্বাচনই নিশ্চিত করবে এই দেশের মালিক সকল জনগণ থাকবে। পার্লামেন্টে বসে আপনাদেরকে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেবে সরকার। এখন শুধু উন্নয়ন শুনতে হচ্ছে। কত টাকায় কি হয়েছে, এটার হিসাব তো দেয়া হয়নি। ড. কামাল বলেন, ফাঁকে ফাঁকে পত্রিকায় আসছে আমাদের যে উন্নয়ন হচ্ছে এটার মূল্য ভারতের চেয়ে তিনগুণ, চারগুণ। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি আমাদের হয়েছে। কিন্তু সেটা ভারতের দ্বিগুণ মূল্য কেন, চার গুণ মূল্য কেন? এই হিসাবগুলো নেয়ার সময় চলে এসেছে। এই জন্যই সরকার এতো ভীত। আপনারা লক্ষ্য করবেন তারা যদি ভাবতো যে, সরকার ভালোই আছে। তারা জনগণের ভোট পাবে।
তাহলে তো এত তিন নম্বরি করার কথা না। এখন যেটা হচ্ছে তা হলো- যাকে পাও তাকে ধর। ভয়ভীতি সৃষ্টি করো। কতো আশঙ্কা থাকলে যাকে পায় তাকে ধরতে পারে। আমাদের এখন প্রত্যেক জায়গায় জায়গায় বলতে হবে। প্রবৃদ্ধির হার দিয়ে কিছু বোঝা যাবে না। আসলে জনগণের জীবনযাত্রার মানের কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা। বাসস্থান, পড়ালেখার সুযোগ ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হচ্ছে কিনা। আমি বলবো- উন্নয়ন সকলের জন্য। সকল মানে শুধু উপরের তলার লোক না। সকল মানে সবাই। পেশাজীবী, দিনমজুর, গরিব মানুষ, কৃষক, নারী-পুরুষ, তরুণ-বয়স্ক সকলের জন্যই উন্নয়ন।
ড. কামাল বলেন, জনগণের কাছে আমার আবেদন, সাহস করেন। এটা আমাদের অধিকার। আমাদের মালিকানা। ধরেন আমাকে আমার বাবা একটা বাড়ি দিয়েছে। সেটা আরেকজন এসে দখল করেছে। আর আমি যদি সেখান থেকে মাথা নিচু করে বের হয়ে বলি আমার বাড়িটা বেদখল করেছে। তাহলে হবে না। দেখিয়ে দিন- বেদখল আমরা হবো না। এদেশের ১৬ কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের মালিকানা পেয়েছি। শহীদদের জীবনের বিনিময়ে যেটা আমরা পেয়েছি। সেটা কি আমরা ছেড়ে দেবো? এই মালিকানা আমরা বিনামূল্যে পাইনি। অনেক অনেক মূল্য দিয়ে আমরা পেয়েছি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি। এটা তারা আমাদের কাছে আমানত দিয়েছে।
এই জন্য আমাদের দায়িত্ব বেড়েছে। এই মালিকানা থেকে আমাদের সরিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, জমির মালিকানা থেকে সরাতে পারলে যেমন কোটিপতি হতে পারে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে সরাতে পারলেও সুবিধা পাওয়া যায়। এসময় হেসে উঠে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করা যে কি মজা। আ হা হা। তেলসম্পদ, গ্যাসসম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ। যাকে তাকে আমরা ব্যবসার সুযোগ দিতে পারি। যাকে তাকে আমরা জায়গা-জমি দিতে পারি। গুলশান বাড়ি করার জন্য আমরা জায়গা দিতে পারি। ব্যাংক দিতে পারি। ক্ষমতা খুব মজার ব্যাপার। ড. কামাল উত্তেজিত হয়ে বলেন, দেশে এখন ৪০টার উপরে ব্যাংক। এগুলো দিয়ে ব্যাংক সেক্টরকে ধ্বংস করছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এদেশের মানুষ কখনো ভুল করেছে এটা কেউ বলে? বলার চেষ্টাও করে না। আমরা যখন ভোট ঠিকমতো দিতে পেরেছি তখন পরিবর্তন এসেছে।
আমাকে একজন বিদেশি সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছে আপনারা চান কি? আমি বলেছি দেশের মানুষ চায় পরিবর্তন। মানুষ ভালো থাকলে পরিবর্তন চাইতো না। তারা চায় ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন। অন্যান্য দেশে যেমন বিপ্লব বিপ্লব চায়। আমরা এখানে ভোটের বিপ্লব চাই। আমি বিশ্বাস করি আগামী ৩০ তারিখ আমরা সবাই মিলে ভোটের বিপ্লব করবো।
তিনি বলেন, আমি এই কথাটাই জোর দিয়ে বলতে চাই- একদিকে আছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ। অন্যদিকে আছে যারা খুব অহঙ্কার করে কথা বলে, যারা ধারণা করে তারাই দেশের মালিক।
ড. কামাল বলেন, সামনে তিন বছর পরে স্বাধীনতার ৫০ বছর আসছে। যদি পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে চাই এই তিন বছরে, যেটা নিয়ে আমরা সবাই মিলে আনন্দ করতে পারি। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রশাসন কোনো দলের পক্ষে কাজ করবে না। কাউকে বলবো না আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলছি, এটা করেন। আমরা দলীয়করণ থেকে মুক্ত করার জন্য নির্বাচনে এসেছি। দলীয়করণ করার জন্য না। রাষ্ট্রের কর্মচারী ও অন্যান্য যারা আছেন তারা দলীয়করণ করবে না। কারণ দলীয়করণ হলো জমিদারি। আমরা তো সেখান থেকে অনেক আগেই মুক্ত হয়েছি। আমরা ৫০-এর দশকে জমিদারি থেকে আন্দোলন করে মুক্ত হয়েছিলাম।
আমরা প্রজা থাকবো না। আমরা যখন জমিদারি থেকে মুক্ত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ আগামী ৩০শে ডিসেম্বর আমরা ভোট দিয়ে দলীয়করণ থেকেও মুক্ত হবো। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ বিজয়ের ভাব আমি সারা দেশে পাচ্ছি। আপনারা দেখেন, আপনাদের যেসব আত্মীয়স্বজন ঢাকার বাইরে আছে তারা কি বলে। মানুষ বলছে ঢাকার কথা জানি না। তবে আমাদের এখানে যে আনন্দ উল্লাস। মানুষ বলছে এটা (বিজয়) হয়েই গেছে। তারা নৌকার লোকজন হয়ে এই মতামত দিচ্ছে না। জনগণই এই মতামত জানাচ্ছে। বৃহস্পতিবার আমাকে সিলেট থেকে একজন ফোন করেছে। বলে আপনাদের বিজয় হয়ে আছে। আমাকে সারা দেশ থেকে মিনিটে মিনিটে ফোন দেয়া হচ্ছে। অসাধারণ সাড়া। বলতে পারি না ভাষায়।
মানুষ কীভাবে আনন্দ উল্লাস করছে। অনেকে বলছে ভয়ভীতি আছে। আমি বলছি- কোনো ভয়ভীতি নেই। আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সারা জীবন ফাইট করেছি। জয়ী আমরা হয়েছি। স্বৈরাচার হয়নি। যদি ভয় পেতাম তাহলে ’৭১ হতো না। বাংলাদেশ হতো না। এসময় তিনি বলেন, কাদের সিদ্দিকী আমার পাশে রয়েছেন। তিনি বিজয়ী যোদ্ধা। বাংলার মানুষ শক্তির কাছে, অর্থের কাছে কোনোদিন মাথা নত করে বসে থাকেনি। পরাজিত হয়নি। এই বিশ্বাসটা রেখে আপনারা মাঠে থাকবেন। সকাল সকাল গিয়ে ভোট দেবেন। গণনার সময় প্রার্থীর পক্ষে শক্ত ও সাহসী লোক থাকবেন। ফলাফল স্বাক্ষর করে নিয়ে আসবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ধরাও সম্ভব না। মারাও সম্ভব না। এটা কয়েকশ’, কয়েক হাজারকে সম্ভব হতে পারে। তার পরেও পুলিশ বলছে- স্যার এটা তো আদেশিত হয়ে করতে হয়। ৩০ তারিখ তো আপনারা বেরিয়ে আসছেন। এর মানে টা কি? কোনো ভয় নেই।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি বেশ কয়েকদিন ধরে নির্বাচনের মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছি। একজন সাংবাদিক বলেছেন, কর্মীদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমি বলবো- যারা ’৬৯ দেখেছেন, ’৭১ দেখেছেন, তারা এবারের জনতার ঐক্য দেখলে বিস্মিত হতেন। কর্মীরা খুব একটা ভয় পেয়েছে এটা সত্য কথা নয়। খুব নাজেহাল করা হচ্ছে। কিন্তু এতে মানুষ আরো বিক্ষুব্ধ হচ্ছে। এই দশ দিনে বা ১৬ দিনে যা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের পক্ষে জনগণের একদম গলাটিপে ধরার চেষ্টা করেছে। এটা নির্বাচন কমিশনের জন্য খুব খারাপ হবে।
বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের ইতিমধ্যে নৈতিক পরাজয় হয়েছে। সেজন্য তারা প্রশাসনের ওপর ভর করেছে।
তাদের এখন রাষ্ট্রযন্ত্রের সাহায্য নিতে হচ্ছে আমাদের মোকাবিলা করার জন্য। এটা আমাদের অর্জন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনাদের দায়িত্ব সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরা। কোনো চাপের কাছে, ভীতির কাছে মাথা নত না করে জনগণের বিষয়গুলো তুলে ধরা। তাহলে জাতির প্রতি আপনাদের দায়িত্ব পালন হবে। দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। এসময় তিনি বলেন, আজকে জনগণের কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, নিজের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।