সোমবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » আ’লীগের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে বিএনপির কর্মীদের হামলা করছে: লালমোহনে মেজর হাফিজ
আ’লীগের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে বিএনপির কর্মীদের হামলা করছে: লালমোহনে মেজর হাফিজ
বিশেষ প্রতিনিধি: নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোলা-৩ সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। সোমবার বিকেলে লালমোহনে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।
সম্মেলন মেজর হাফিজ অভিযোগ করে বলেন, লালমোহন ও তজুমদ্দিনে প্রতিরাতে বিএনপি সমর্থকদের বাড়িতে গণলুট ও বোমাবাজি হচ্ছে। আচারণ বিধি লঙ্ঘনসহ এলাকায় নির্বাচনী কোনো পরিবেশ নেই। দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। হামলা করে আহত করা হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের। তাকে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পরছিন না। তাকে বাসায় অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আওমী সন্ত্রাসীরা। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে না বলে আশংকা করেছেন হাফিজ।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি হয়নি। আওয়ামীলীগ ভালো করেই জানেন সুষ্ঠ নির্বাচন হলে কি হবে। তাই ক্ষমতায় বসে নির্বাচন দিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন হয়। বাংলাদেশেই একমাত্র তার বতিক্রম। পুলিশ তাদের সাথে থাকে। সন্ত্রাসে চেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ভোলা-৩ আসনে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ২শত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে এসেছে। তারা প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা নিপিরন করা হচ্ছে।
মেজর হাফিজ বলেন, সেনাবাহিনী ছাড়া এই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বসিয়ে দেয়া হয়েছে পছন্দের দলকে বিজয়ী করে দেওয়ার জন্য। তবুও জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তাহলে ধানের শীষ জয় লাভ করবে।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল পঞ্চায়েতসহ বিএনপি ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, একই দিন সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি প্রার্থী হাফিজ একটি আতঙ্কের নাম। নির্বাচন এলেই তিনি লাশের রাজনীতি করেন। মানুষ হত্যা করেন। তাকে নিয়ে জনগণ ভয়ে আছে। ২০০১ সালের নির্যাতনের কথা মানুষ এখনও ভোলেনি।
শাওন বলেন, এতোদিন নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত ছিল। কিন্তু তিনি এলাকায় আসার পরই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম অরুন, সহ-সভাপতি আবদুল মালেকসহ অনেকে।
-বিএন/এফএইচ