ভোলায় ২২ দিনে ৪৩২ জেলের কারাদণ্ড

বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় গত ২২ দিনে  ৪৩২ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬ লাখ ১৬ হাজার ২০০ মিটার কারেন্ট জাল ও প্রায় ৩ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।

ভোলা জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টেবর পর্যণÍ ২২ দিন সারাদেশের মত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরা, বিপনন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের করায় ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২৪১টি মামলা হয়েছে।

এবিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা যাতে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য ভোলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মৎস্যবিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, র‌্যাব ও পুলিশের টিম নদীতে অভিযান চালায়।

 গত ২২ দিনে ৩১৩টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানের মুখে অনেক জেলেই নদীতে নামতে পারেনি। যে কারণে ৬০/৭০ ভাগ ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়তে পেরেছে। এদিকে, ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নতুন করে নদীতে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা।

গত রোববার (২৮ অক্টোবর) রাত ১২ পর থেকেই জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ ইলিশ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নামবে জেলেরা। জেলা সদরের কয়েকটি মাছ ঘাট ঘুরে জেলেদের সঙ্গে কথা জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও জেলে পুনঃবাসনের চাল জোটেনি অনেকের ভাগ্যে। এতে অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে জেলেদের।

তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, নিবন্ধনকৃত সব জেলের নামে চাল বরাদ্দ না আসায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ এ বছরে ৮৮ হাজার ১১১ জন জেলের নামে চাল এসেছে। চাল বিতরণের কাজ শেষের দিকে।

-বিএন/এফএইচ