বুধবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে বিদ্যুতের লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ
চরফ্যাশনে বিদ্যুতের লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন ভাপসা গরমে জাতীয় গ্রীড ও পল্লী বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে জনজীবন মারত্মক হুমকীর সম্মুখিন হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৩ দিনে চরফ্যাশন দিন-রাতে প্রচন্ড গরমে সড়ক, কাজকর্মে বাসাবাড়ীতে ও সড়কে যাতায়াত করা যাচ্ছেনা। দিনমজুরগন কাজকর্মে করতে হিমশিম খাচ্ছে। বিদ্যুতের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের দাবী আমাদের লাইন কাজ চললে সমস্যা থাকতে পারে এই জন্যে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়।
গ্রাহক সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে আর কথা বলার আর কিছুই নেই। বিদ্যুতের সমাধান অবশেষে বর্তমান সরকারের আমলে আওয়ামীলীগের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি এক সমাবেশে বলেছেন, চরফ্যাশন আর বিদ্যুতের সমস্যা হবেনা। আমরা সরাসরি ভোলা গ্রিড লাইন থেকে কিছুদিনের মধ্যে চরফ্যাশনে রীতিমতো বিদ্যুৎ পাব। কিন্তু বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে কিছুদিন হলো বছরের পর বছর। লোড-শেডিং ঘন্টার পর ঘন্টা দেয়া হয়। আকাশে মেঘ দেখলেই শহর পর্যায় একটু বিদ্যুতের দেখা মিললেও গ্রাম-গঞ্জের পল্লীবিদ্যুত দিনের পর দিন বন্ধ থাকে। গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার ভাপসা গরমে জনজীবন বিপর্য দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মিথ্যের আশ্বাসে কতদিন বিদ্যুৎ বিভাগের ভাইতা বাজী চলবে বলে পৌর ৪নং ওয়ার্ডের গ্রাহক ইউসুফ হোসেন অভিযোগ করেন।
আসলামপুর গ্রাহক জসিম, সোহাগ বলেন, আমরা মোবাইল ফোনে গ্রামের পরিচয় দিয়ে কথা বললে হুমকি স্বরূপ বলে- রাখেন। কখন বিদ্যুৎ আসবে এটা বলা যাবে না।
চরফ্যাশন উপজেলা পল্লিবিদ্যুতের এজিএম মনিমুল ইসলাম বলেছেন, কাজ চলছে তাই বিদ্যুৎ বন্ধ রাখছি। না থাকায় স্বাভাবিক পৌরসভা ছোট্র একটি জায়গা ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের লোড-শেডিং থাকে আমরা এতো বড় উপজেলা কিভাবে সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ দিব। আমরা বাসাটা পিডিপি‘র সাথে আমিএ বিদ্যুৎ পাই না। বিদ্যুৎ ঠিক মতো দেয়ার চেষ্টা করছি।
চরফ্যাশন পৌরশহরসহ উপজেলা প্রায় সকল এলাকায় বিদ্যুৎ লাইগুলোর মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে এসব এলাকার ভোলা মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সমস্য দেখা দিলে আমাদের কিছু করার নেই। আসলামপুর জনৈক স্কুল শিক্ষক কিবরিয়া এই বলেন, একত প্রচন্ড গরম অন্য দিকে বিদ্যুৎ লোডশেডিং বাসা বাড়ীতে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনেক সময় দু’তিন পর্যান্ত বিদু্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের যন্ত্রণা আমরা অতিষ্ঠ। কাউকে বা কোথায় বলে এ যাবৎ কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এদের অজুহত বাতাস আসলে তার ছিড়ে গেছে, রোদ থাকলে লাইনে কাজ চলছে। রাতে লোড-শেডিং দিচ্ছি। উপজেলা বিদ্যুৎ লাইনগুলো সংস্কার না হওয়ায় লাইনগুলোর অবস্থা খুবই করুণ।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রবল বেগে বাতাস হলে তারে তারে ঘষা লেগে আর্থিংয়ে তার জ্বলে যায় কিংবা ছিড়ে যায়। শশীভূষণ বাজার কাপড় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের ফলে অনেক সময় প্রিজে সংরক্ষিত মাছ মাংস রাখা সব নষ্ট যায়। চরফ্যাশন শহরসহ প্রত্যান্তাঞ্চলগুলো দিনে-রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুহীন থাকছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। চরফ্যাশন সরকারি কলেজ অনার্সের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ সভাপতি শিপন বলেন ভাপসা গরমের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। পড়া-লেখা,গরম ও গোসলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। চরফ্যাশন আদালতের এডিশনাল পিপি আমিনুল ইসলাম সরমান বলেন, মানুষের দুর্ভোগ আমলে নেয় না চরফ্যাশনের বিদ্যুৎ বিভাগ।
-এফএইচ