মঙ্গলবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » তজুমদ্দিনে ২০ বছর নেই সহকারী ভূমি কমিশনার!
তজুমদ্দিনে ২০ বছর নেই সহকারী ভূমি কমিশনার!
রফিক সাদি, তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার (এ্যাসিল্যান্ড) পদটি ২০ বছর ধরে শুণ্য রয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ সুযোগে অফিস ফাঁকি দিচ্ছেন অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। দুর-দুরান্ত থেকে ভূমি সংক্রান্ত কাজে উপজেলায় এসে ভোগান্তিতে পড়ছে ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
ভূমি অফিস ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে তজুমদ্দিন উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার (এ্যাসিল্যান্ড) এস,এম, সেলিম রেজা বদলী হওয়ার পর থেকে অদ্যবদী উপজেলা ভূমি অফিসের ওই পদে আর কোন কর্মকর্তা যোগদান করেননি। এ যাবত যখন যিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন তখন তিনি সহকারি ভূমি কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ পদটি শুণ্য থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছে উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ মানুষ। নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলার প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় উপজেলা ভূমি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারছেন না বলে জানান স্থানীয়রা ।
আরো জানাগেছে, কর্মকর্তা না থাকায় নামজারী জমা-খারিজ, সরকারি ভূমি রক্ষণা-বেক্ষণ, খাস জমি বন্দোবস্ত, রাজস্ব বা খাজনা আদায়ের হার নিশ্চিত করা, ভূমি সংক্রান্ত মিস-কেইস মামলার নিস্পত্তি করা, আশ্রয়ন ও গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের জন্য খাস জমির প্রস্তাব প্রেরণ করা, ভূমি সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণসহ গুরুত্বপুর্ণ ফাইল ও কাগজপত্র আটকে থাকে দিনের পর দিন।
এদিকে প্রধান কর্মকর্তা না থাকার সুযোগে অফিস ফাঁকি দিচ্ছেন অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। যে কারনে উপজেলার চরাঞ্চল ও দুর-দুরান্ত থেকে ভূমি সংক্রান্ত কাজে এসে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে ভূক্তভোগীরা।
ভূমি সংক্রান্ত কাজে অফিসে আসা শম্ভুপুরের বাসিন্দা আঃ হালিম বলেন, প্রায় দুই মাস আগে তার এক নিকট আত্মীয়ের জমির নামজারী করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। তার আত্মীয় জমি বিক্রি করে মেয়ে বিয়ে দিবেন। কিন্তু নামজারীর কাগজ হাতে না পাওয়ায় জমি বিক্রি করতে পারছেন না।
অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী ভূমি কমিশনার নব যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত অফিস করে ভূমি সংক্রান্ত যে কোন কাজ অতিদ্রুত যথা সময়ে করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো। কর্মকর্তার শুণ্যতা পুরণ হলে জনগণের সুবিধা বেশী হবে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, এ্যাসিল্যান্ড পদটি শুণ্য থাকার বিষয়ে কমিশনার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
-এফএইচ