বৃহস্পতিবার ● ৯ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » তজুমদ্দিনে জনতার হাতে ৯ ডাকাত আটক
তজুমদ্দিনে জনতার হাতে ৯ ডাকাত আটক
তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৯ ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর নাছরিন সংলগ্ম নদী হতে এদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় আহত ৫ কৃষক ও ৬ জলদস্যুকে রাত সোয়া ৮ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও আহত মালেক মাঝী সুত্রে জানা যায়, সোনাপুর ইউনিয়নের মহেষখালী নামক এলাকা থেকে চর নাছরিনের উদ্দেশ্যে একটি যাত্রিবাহী ট্রলার ছেড়ে যায় বিকাল ৪টায়। আধাঘন্টা পর যাত্রীবাহী ট্রলারটি চর নাছরিন সংলগ্ন এলাকায় পৌছলে তীরের কাছাকাছি অপর একটি ট্রলারের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় যাত্রীদের। এসময় যাত্রীরা মাছ ঘাটের লোকজনকে ফোন করে নদীর তীরে আসতে বলে। পরে ঘাটের মাঝী-মাল্লারা অপর একটি ট্রলার দিয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ডাকাতের ট্রালারটি বরিশালের খাল নামক মাছ ঘাটের দিকে চলে যেতে থাকে। জেলেদের ফোনে সংবাদ পেয়ে বরিশালের খাল মাছ ঘাটের জেলেরা আরেকটি ট্রলার এসে ডাকাতদের সামনে থেকে ধাওয়া করলে রগকাটা চর সংলগ্ন মেঘনায় এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় জেলেরা পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সংবাদ দেয়।
চর নাছরিনের জেলে মালেক মাঝি জানান, এসময় ডাকাতরা জেলেদের উপর এলোপাথাড়ি ছড়া গুলি ছোড়ে ও কুপিয়ে আহত করে ৩ জেলেকে। পরে ডাকাতরা লোকালয়ের গহীন জঙ্গলে ঢুকে পড়লে জেলেরা ৯ ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দেয়। বাকীরা গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছলে আটককৃতদের স্থানীয়রা তাদের হাতে তুলে দেয়। আটককৃত ৯ ডাকাতের মধ্যে ইসমাইল ওরফে কালু (২৫), মাহফুজ (৪৫), ফরিদ (৪০), আশরাফ (৩৮) এর বাড়ি রামগতি থানায় এবং নজির (৬৫) এর বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলায় বলে জানা গেছে। অপর ৪ ডাকাতকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তাদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন জানান, পুলিশের নেতৃত্বে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় আটককৃত ৯ ডাকাত পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে। তাদের নামে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের করা হবে।
-আরএস/এফএইচ