সোমবার ● ৩০ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দৌলতখানে সড়কের একি দশা!
দৌলতখানে সড়কের একি দশা!
রোমানুল ইসলাম সোহেব, দৌলতখান প্রতিনিধি: ভোলার দৌলতখানের সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডবাসীর জন্য ভোগান্তি হলো কাচা সড়ক। কারণ এই গ্রামের একমাত্র মাটির রাস্তায় একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বৃষ্টির পানিতে সৃষ্টি কাদা মাটিতে দুভোর্গ বাড়ছে এই রাস্তায় যাতায়াতকারী এলাকাবাসীর। দুর্ভোগের শিকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাও। বর্ষা আসলেই এলাকাবাসীর জন্য অভিশাপের আরেক নাম এই রাস্তাটি। তবুও যেন দেখার কেউ নেই। এই দুভোর্গ দিনের পর দিন চলতে থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকারী কোন উদ্যোগ না থাকায় হতাশ গ্রামবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতখান সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গ্রামবাসীদের চলাচলের জন্য মাত্র একটাই রাস্তা আছে। কিন্তু এই কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে হলেই এই রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেই সাথে সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্তের। এইসব কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী, গর্ভবতী নারী ও গ্রামের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলেন, বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা উঁচু নিছুর কারণে পানি জমে যায়। পানির সাথে কাদা মাটির কারণে মানুষ ও পণ্যবাহী গাড়িগুলো চলাচল করতে পারে না। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার।
নিজেদের সন্তানদের দুভোর্গ প্রতিদিন এভাবেই চোখের সামনে দেখেন হালিমা ও বুলবুল নামের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক। কোন উপায় না থাকলেও বৃষ্টির দিনে একহাটু কাদা পানির মধ্যে বাধ্য হয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠান। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আক্ষেপ করে বলেন, আমদের সন্তানদের দুভোর্গ আমাদের ব্যতিথ করলেও এই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা কখনো তা দেখেন না। আমাদের ছেলেমেয়েরা এভাবেই কষ্ট করে পড়াশুনা করে।
তারা আরো বলেন, ভোটের সময় প্রত্যেকের ধারে ধারে এসে চেয়ারম্যান মেম্বাররা কত প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর খবর থাকে না।
এলাকার একমাত্র রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণ জানতে চাইলে সৈয়দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জি এস ভুট্ট তালুকদার বলেন, আমার কাছে কেউ এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু কি করবো বলেন, একাধিক বার চেষ্টা করেও আমি রাস্তাটি সংস্কারের জন্যে কোন বরাদ্দ আনতে পারিনি। তবে আমি এখনো যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
-এফএইচ