বুধবার ● ১৮ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে জোয়ারের পানিতে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত
চরফ্যাশনে জোয়ারের পানিতে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচার, শশীভূষণ ও দুলারহাট থানার বিছিন্ন দ্বীপাঞ্চলে গত ৩ি দনের প্রবল বর্ষণ ও আমাবস্যার জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢালচরইউনিয়নসহ মোট ৯টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সড়ক গুলো ভেঙে ও পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। গরু-মহিষসহ গবাদি পশু-পাখির খাদ্যাবাব দেখা দিয়েছে। অর্ধশতাদিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার একাধিক এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমাবস্যায় নদ-নদীর পানি বিপদসীমানার উপর দিয়ে প্রভাবিত হওয়ায় ও রবিবার থেকে টানা বর্ষণে পানির ঢেউয়ে রাস্তাÑঘাট ভেঙে গেছে। পুকুরের পালিত মাছ ভেসে গেছে। গরু, ছাগল ও মহিষসহ গবাদিপশু গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে। কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক তথ্য দিতে পারছেনা সরকারি-বে-সরকারি কোন সংস্থা। উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ ঢালচর, মজিবনগর, চরকুকরি-মুকরী, চরমাদ্রাজ, নজরুল নগর, হাজারীগঞ্জ, আসলামপুর, চরকলমী ও নুরাবাদ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম হাওলাদার বলেন, সড়ক গুলো ডুবে যাওয়ায় উঁচু স্থান গুলো ভেঙে গেছে ফলে ইউনিয়ন পরিষদ ঢালচর বাজার থেকে ওয়ার্ডের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও বিদ্যুৎ ও চার্জ দেয়ার অভাবে সেই যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। বুধবার বাগানে গরু-মহিষসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলো পরিদর্শন করা হবে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ঢালচর ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিউল্যাহ বলেন, আমার পুকুরে মাছ গুলো বাঁধ তলিয়ে নদীতে চলে গেছে। গবাদি পশুর গুলোও পানির মধ্যে রয়েছে। খাদ্যের অভাবে কাতর হয়ে গেছে।
৮নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমার বসতঘর পনিতে ডুবে গেছে। আমি বাশের মাছাং দিয়ে অবস্থান করছি। কাচাঁÑঘর বাড়ী ভেঙে যাচ্ছে। অনেক পরিবার বাসা-বাড়ীতে কোন ভাত রান্না করতে পারেনা। খাদ্যোর অভাবও রয়েছে।
সোম ও মঙ্গলবার উপজেলা জুরে কখনও বাতাস, কখনও ভারীবর্ষণ হচ্ছে। এতে উত্তাল হয়ে উঠেছে নদী মোহনা। দূর্ঘটনার আশংখায় নৌকা ও ট্রলারগুলো নদীর তীরের কাছা-কাছি অবস্থান করলেও কেউ কেউ আবার বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে নদীতে মাছ শিকারে নেমেছে। পনি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কৃষকের বীজতলা গুলো তলিয়ে গেছে। অনেকে বীজ ধান লাগিয়েছে। ওই ধানের বীজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে নুরাবাদ ইউনিয়নের কৃষিক নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোতোষ সিকদার বলেন, বৃষ্টি বেশী হচ্ছে বীজ তলা তলিয়ে যাওয়ার সংবাদ আসছে তবে কি পরিমান ক্ষতি হচ্ছে এমন রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। বুধবারে ক্ষতির পরিমান কিছুটা হলেও জানা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, চরফ্যাশনে বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি বাড়লে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়, আবার ভাটা পড়লে পানি নেমে যায়।
-এফএইচ