ভোলায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে রূপী রাণী দে (২১) নামের এক গৃহবধূকে লোহার রেঞ্জ দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া কান্দি গ্রামের পাল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের ২ দিন পর স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে তজুমদ্দিন উপজেলার গোলকপুর গ্রামের গান্ধি বৈদ্ধর কণ্যা রূপী রাণীর সাথে সদর উপজেলার বাংলাবাজর এলাকার দক্ষিণ বালিয়া কান্দি গ্রামের পাল বাড়ির শুভল চন্দ্র দাস এর ছেলে সুজল চন্দ্র এর পারিবারিক সম্মতিতে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় রূপী রাণীর সুখের জন্য তার বাবা প্রায় ৫ ভরি র্স্বণালংকার সহ কয়েক লক্ষ টাকা পণ প্রদান করেন।
গত কয়েক মাস ধরে তার স্বামী ও শশুর আরো ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন তার কাছে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার শশুর ও স্বামী তাকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করেন।

গৃহবধূ রূপী রাণী অভিযোগ করেন, গত কয়েক মাস ধরে তার শশুর শুভল চন্দ্র তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে সে অস্বীকার করলে শশুর শুভল চন্দ্র তাকে বিভিন্ন সময় নানা ভাবে কু-প্রস্তাব প্রদান করেন এবং তাকে একা ঘরে পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি তার স্বামী সুজল চন্দ্রকে জানালে সুজল চন্দ্র তার উপর উল্টো ক্ষেপে তাকে প্রায় মারধর করতেন। বিয়ষটি এলাকায় জানা জানি হলে স্বামী সুজল ও শশুর শুভল ক্ষিপ্ত হয়ে আরো শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়।

গত ১ জুলাই রবিবার সকালে পুনরায় ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন তারা। এতে অস্বকৃতি জানালে স্বামী সুজল ও শশুর শুভল তাকে লোহার রেঞ্জ দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করে এবং হত্যার উদ্দেশ্য গলা চেপে ধরেন বলে অভিযোগ করেন রূপী রাণী। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করলে তারা স্বামী ও শশুর তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

গত ৩ জুলাইল স্থানীয়দের সহযোগীতায় রূপী রাণীকে তার বাবার বাড়ির লোকজন  উদ্ধার করে তজুমদ্দিন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

এদিকে অভিযুক্ত স্বামী সুজল মারধরের বিষয়টি স্বীকার করলেও ও শশুর শুভল চন্দ্রর কু-প্রস্তাবের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

এঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সু বিচার দাবি করেছেন রূপী রাণী ও তার পরিবার।

-এফএইচ