রবিবার ● ১০ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » ঈদের আনন্দ বঞ্চিত চরফ্যাশনের সহাস্রাধিক শিক্ষক পরিবার
ঈদের আনন্দ বঞ্চিত চরফ্যাশনের সহাস্রাধিক শিক্ষক পরিবার
চরফ্যাশন প্রতিনিধি; ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন ভালার চরফ্যাসনের সহাস্রাধিক বে-সরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা। চলতি বছরের মে মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস এখন পর্যন্ত তারা হাতে না পাওয়ায় ঈদের কেনা কাটা সহ নানা রকম সংকটে পড়েছেন এ সমস্ত শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা।
বে-সরকারী স্কুল ও কলেজের বেতন প্রদানকারী দপ্তর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (সাঃ প্রশাঃ) মোঃ শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকি জানান, চলতি মাসের ৩ তারিখে মে মাসের বেতনের চেক তারা ব্যাংকে হস্তান্তর করেছেন যা উত্তোলন করার শেষ তারিখ ১০ জুন এবং ৪ জুন ঈদ বোনাস (উৎসব ভাতার) চেক ব্যাংকে হস্তান্তর করেছেন যা উত্তোলন করার শেষ তারিখ ১১ জুন কিন্তু স্থানীয় ব্যাংক সুত্র জানিয়েছে তারা জুন মাসের ৯ তারিখেও বেতন বিলের কপি (এমপিও সীট ) ও বোনাসের কোনো কপি হাতে পাননি।
তাই ব্যাংকে বেতন বোনাস উত্তোলন করতে এসে শত-শত শিক্ষক কর্মচারীরা ভীর জমালেও তারা তাদের বেতন- বোনাস দিতে পারছেন না। এ জন্য তারা বেতন প্রদান কারী অধিদপ্তর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা অদিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়ী করেন।
অন্যদিকে মাদরাস শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন প্রদান কারী দপ্তর মাদরাসা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ভিন্ন কথা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপ-পরিচালক জানান, বৃহস্পতিবার মাদরাসা শিক্ষকদের মে মাসের বেতন ও বোনাস ছাড় করা হয়েছে যা তারা আগামী ১৪ জুনের মধ্যে স্ব-স্ব হিসাব নম্বর থেকে উত্তোলন করতে পারবেন। তিনি বিলম্বে বেতন-ভাতা ছাড়ের ব্যাপারে তাদের দপ্তরের অবহেলাই মনে করেন।
চরফ্যাসনের সহ¯্রাধিক এমপিওভুক্ত বেসরকারী শিক্ষকদের বেতন প্রদানকারী ব্যাংক রূপালী ব্যাংকে গিয়ে দেখা গেছে শত-শত শিক্ষকদের আহাজারী। তারা বেতন- বোনাস উত্তোলন করতে এসে তা উত্তোলন করতে না পেরে খালি হাতে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে চরফ্যসন রূপালী ব্যাংক লিমিটেড এর সহ-ব্যবস্থাপক মোঃ কামাল হোসেন রবিবার বলেন, কাগজে পত্রে অধিদপ্তর বেতন ছাড় করলেও বাস্তবে আমরা এখনো বেতন সীট (এমপিও কপি) পাইনি তাই তাদেরকে বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে পারছিনা। তা ছাড়া আপনারাতো নেটে দেখেছেন মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন-ভাতার চেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুলোতে ছাড় করেছে মাদরাসা অধিদপ্তর যা আদৌ ঈদের আগে আসে কিনা আমার জানা নেই। আমরা ব্যাংক খোলা থাকা অবস্থায় এমপিও পেলে অবশ্যই তাদের বেতন-বোনাস তাদের একাউন্টের মাধ্যমে তাদের হাতে পৌছানোর চেষ্টা করবো।
একাধিক মাদরাসার অধ্যক্ষ, সুপার ও সহকারীরা জানান, মাদরাসা শিক্ষকদের একমাত্র সংগঠন জমিয়াতুল মোদাররেসীন আন্দোলন করে ভিন্ন মাদরাসা অধিদপ্তর কেরছে মাদরাসা শিক্ষকদের কল্যানের জন্য অথচ সেই মাদরাসা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফলতির কারনে আজ তারা বঞ্চিত হচ্ছেন ঈদের এ আনন্দ থেকে।
-কেএস/এফএইচ