শনিবার ● ৯ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » লালমোহন মঙ্গল সিকদারের ঝুঁকিপূর্ণ পল্টুনটি সংস্কারের দাবি
লালমোহন মঙ্গল সিকদারের ঝুঁকিপূর্ণ পল্টুনটি সংস্কারের দাবি
এম আর পারভেজ, লালমোহন: ভোলার লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মঙ্গল শিকদার লঞ্চঘাটে কয়েক হাজার যাত্রী ওঠানামায় একমাত্র পল্টুন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়েছে পরেছে। প্রায় ২ বছর অগে এই পল্টুনের চাল কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে এবং বিভিন্ন অশং বিধ্বস্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোন মেরামত করা হয়নি। আবার দেখাশুনার অভাবে অযত্ন অবহেলা পল্টুনে যাত্রী ওঠানামার সংযোগ সড়কটির ও বেহাল দশা। একটু বৃষ্টি হলেই যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ঈদে আরও দুর্ভোগে পড়তে হবে যাত্রীদের। এর আগেই পল্টুনটি সংস্কার করা জরুরী বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, যাত্রী সুবিধার কথা চিন্তা করে ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটি এ পল্টুনটি স্থাপন করে। ঝড়-বন্যায় দুর্বল পল্টুনটি ডুবে যায়। পরে ২০১২ সালে আরেকটি ১ হাজার ৭৫৫ বর্গফুটের পল্টুন স্থাপন করা হয়। সেটিরও চাল উড়ে গেছে ঝড়ে। বিশ্রামাগার ও টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে অনেক আগেই। পল্টুনে নারী যাত্রীদের জন্য কোন শৌচাগারের ব্যাবস্থা নেই। বিশ্রমেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।
লঞ্চযাত্রী মোঃ ইয়াছিন মিয়া বলেন, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য মঙ্গল শিকদার লঞ্চ ঘাটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেখানে যাত্রীরা খুব কষ্ট করে উঠানামা করতে হয় ।
লালমোহন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ বেপারী বলেন, লালমোহন বাজার-ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লালমোহন বাজার ব্যবসায়ীরা মঙ্গল শিকদার ঘাট দিয়ে মালামাল ওঠানামা করছে। কিন্তু পল্টুনের বেহাল দশার কারণে মালামাল বর্ষার বৃষ্টিতে বিজতেছে প্রতিনিয়ত, চুরি ও হচ্ছে অনেকের গুরুত্বপূর্ন জিনিস পত্র।
এ বিষয়ে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু মিয়া বলেন, ঘাট সংস্কারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বহুবার বলার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘাটে নতুন পল্টুন স্থাপন ও সংযোগ সড়কটি সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গল শিকদার লঞ্চ ঘাটের পল্টুনটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে।
-এফএইচ